ক্যাম্পাস

‘উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যের প্রটোকল লাগে না’

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইয়াহ্ইয়া আখতার বলেছেন, ‘উপাচার্য আর শিক্ষার্থীর মাঝে কোনো পার্থক্য নেই। আমাদের উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যের কোনো প্রটোকল লাগে না। ছাত্ররাই আমাদের জন্য যথেষ্ট।’

রোববার (৩ নভেম্বর) দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদের সম্মেলন কক্ষে ‘কেমন ক্যাম্পাস চাই’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় তিনি এ সব কথা বলেন। সভাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ ও রাষ্ট্রচিন্তা কেন্দ্রের উদ্যোগে আয়োজন করা হয়।

উপাচার্য বলেন, ‘ভালো ক্যম্পাস গড়ার জন্য একটি কাজই যথেষ্ট। সেটি হচ্ছে, যার ওপরে যে দায়িত্ব আছে, সেটা সুচারুরূপে পালন করা। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়কে হার্ভার্ড বানাতে পারবো না। তবে এ দেশের মধ্যে প্রথম সারির মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত অ্যাকাডেমিক অনন্যতায় একটি বিশ্ববিদ্যালয় বানাবো।’

আবাসিক হলে সিট বৃদ্ধি নিয়ে তিনি বলেন, ‘হল বাড়াতে গেলে আমাদের তিন বছর লেগে যাবে। আমরা হলগুলোতে ‘বাঙ্ক বেড’ স্থাপনের পরিকল্পনা করছি। এটা হলে আর তিন বছর লাগবে না। যদি বেডগুলো পাল্টানো হয়, তাহলে যে হলে ৫০০ শিক্ষার্থী থাকতে পারছে, সেখানে ১০০০ শিক্ষার্থী থাকতে পারবে। তবে এ সিদ্ধান্ত এখনো চূড়ান্ত হয়নি।

রাষ্ট্রচিন্তা কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. এনায়েত উল্যা পাটওয়ারীর সভাপতিত্বে ও লোক প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. মমতাজ উদ্দিনের সঞ্চালনায় এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন, উপ-উপাচার্য (অ্যাকাডেমিক) অধ্যাপক ড. মো. শামীম উদ্দিন খান ও উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন। প্যানেল আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল হক।

সভায় বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে সুন্দর ও প্রাণবন্ত একটি ক্যাম্পাস গড়তে যৌক্তিক মতামত ব্যক্ত করেন।