রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) মন্নুজান হলের দেয়াল ও ছাদে ফাটল দেখা দিয়েছে। এছাড়া সেখান থেকে মাঝে মাঝে ধসে পড়ছে পলেস্তারা। ফলে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন হলটির সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয় ও হল সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের আবাসিকতার জন্য প্রথম নির্মিত হয় মন্নুজান হল। ১৯৬৪ সালে ছাত্রীদের এ হলটি দানবীর হাজী মুহম্মদ মহসিনের বড় বোন বেগম মন্নুজানের নামানুসারে নামকরণ করা হয়। এ হলটির বয়স প্রায় ৫৮ বছর।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা জানান, গত শুক্রবার (১ নভেম্বর) আনুমানিক রাত ৮টার দিকে হলের ৩২৩ নম্বর কক্ষে ছাদের ফাটল থেকে কিছু অংশ ধসে পড়ে। এর আগেও হলের বিভিন্ন কক্ষে ছাদের পলেস্তারা ধসে পড়ার ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি হল প্রাধ্যক্ষকে জানালে তিনি ইঞ্জিনিয়ারসহ প্রশাসনকে অবহিত করেন এবং মেরামতের কাজ শুরু করে দিয়েছেন।
হলের আবাসিক শিক্ষার্থী তাবাসসুম জান্নাত বলেন, ‘আমি রুমে ওঠার পর এবারই প্রথম এমন হলো। তবে রুমে ফাটলসহ এমন ভাঙ্গা অনেক আছে। ইতোমধ্যে হল প্রশাসন ব্যবস্থা নিয়েছে।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘এমন হওয়ার পর হল প্রাধ্যক্ষকে জানানো হলে তিনি দ্রুত পদক্ষেপ নেন। কিন্তু আমার পরীক্ষা থাকার কারণে মিস্ত্রি কাজের জন্য আসার পরেও আমি মেরামতের কাজ করতে নিষেধ করেছি। কেননা পরীক্ষার মধ্যে আমার পক্ষে এখন রুমের জিনিসপত্র সরানো সম্ভব নয়।’
জানতে চাইলে মন্নুজান হলের প্রাধ্যক্ষ ড. আশিয়ারা খাতুন বলেন, ‘এ বিষয়ে আমাকে জানানো হলে আমি ইঞ্জিনিয়ারসহ স্থানটি প্রদর্শন করি। পরে মেরামতের জন্য মিস্ত্রি আসলে আমি নিজে দাঁড়িয়ে থেকে মেরামতের কিছু কাজ দেখেছি। আরও যেগুলো ফাঁপা জায়গা আছে সেগুলো ভেঙে পুনরায় প্লাস্টার করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘হল সংস্কারের বিষয়ে আমি দ্রুত উপাচার্য স্যারের সঙ্গে কথা বলবো। আর যেহেতু সংস্কারে শিক্ষার্থীদের জিনিসপত্র সরাতে হবে, তাই আমি আগে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের অনেকের পরীক্ষা চলছে। তাদের পরীক্ষার বিষয়টি মাথায় রেখে আমাদের পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে হবে।’