বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম ও র্যাংকিং উন্নয়নে ওয়েবসাইট হালনাগাদ রাখা গুরুত্বপূর্ণ হলেও সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয় (গবি) এ ক্ষেত্রে অনেকটাই পিছিয়ে। প্রতিষ্ঠার ২৬ বছর পরও বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে নেই পূর্ণাঙ্গ তথ্য, করা হয় না নিয়মিত হালনাগাদও।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বর্তমান আন্তঃসংযোগের যুগে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট পক্ষের সঙ্গে সংযোগ রক্ষার অত্যন্ত কার্যকর মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হয়। মূলত বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচিতি, নিয়মিত বিজ্ঞপ্তি, অ্যাকাডেমিক বিবরণ, শিক্ষক ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের বিস্তারিত তথ্যসহ গবেষণা কার্যক্রম, ফলাফল এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের সমৃদ্ধ ভাণ্ডার হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সেখানে গবির ওয়েবসাইটটি চলছে কচ্ছপের গতিতে। যা শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় তথ্যপ্রাপ্তিতে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে।
তারা অভিযোগ করে আরও জানান, দীর্ঘ সময় পার করলেও বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষা পদ্ধতির ব্যবস্থাপনায় নেই আধুনিকতা। ওয়েবসাইটে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের জন্য প্রয়োজনীয় নোটিশ, অ্যাকাডেমিক বিবরণ এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নিয়মিত হালনাগাদ করা হয় না।
জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের দ্বারাই ওয়েবসাইটের উন্নয়ন করা হয়। ধারণ ক্ষমতা কম হওয়ায় ওয়েবসাইটটি ধীরগতির। ওয়েবসাইটের ফাইলের আকার বড় হওয়ায় তথ্য আপডেটে যথেষ্ট সমস্যার সম্মুখিন হতে হয়।
ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিম্যাল সায়েন্সেস অনুষদের শিক্ষার্থী মারুফ রেদওয়ান অভিযোগ করেন, ‘ওয়েবসাইটটি ব্যাকডেটেড এবং প্রয়োজনীয় তথ্যের অভাবে শিক্ষার্থীদের জন্য বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়। বিভাগীয় নোটিশও ঠিকমতো পাওয়া যায় না।’
সাবেক শিক্ষার্থী মহিউস ছাইয়েদ বলেন, ‘বর্তমান সময়ে সবকিছু প্রযুক্তির সঙ্গে উন্নত হচ্ছে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ও তার ব্যতিক্রম নয়। তবে ধীরগতির কারণে শিক্ষার্থীরা সুফল পাচ্ছে না। ওয়েবসাইট নিয়মিত আপডেট হয় না, লোডিং হতে যথেষ্ট সময় লাগে। বিভিন্ন নোটিশ শিক্ষার্থীর কাছে পৌঁছাতে সময় লাগে, যা আরও দ্রুত করা যায়। আইএমইএসেও রয়েছে চরম ভোগান্তি।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘অনেক সময় ওয়েবসাইটে প্রবেশ করা যায় না। সার্ভারে সমস্যা ও বিভিন্ন ত্রুটি দেখা দেয়। বিভিন্ন বিভাগের সাব পোর্টালগুলোতেও পর্যাপ্ত তথ্য নেই, যা শিক্ষার্থীদের জন্য ভোগান্তির কারণ।
এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ সমস্যার সমাধানে নতুন একটি ওয়েবসাইট তৈরির কাজ শুরু করেছে বলে জানা গেছে। বর্তমান ওয়েবসাইটের সব তথ্য নতুন সাইটে স্থানান্তর করা হবে এবং শিক্ষার্থীদের অভিযোগগুলো সমাধানের পাশাপাশি অন্যান্য সুবিধা নিশ্চিত করা হবে।
ওয়েবসাইট নিয়ে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার আবু মুহাম্মাদ মুকাম্মেল জানান, শিক্ষার্থীদের অভিযোগ দ্রুত সমাধান করা হবে। বিষয়গুলো কাজ শুরু হয়েছে।