নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) দ্বিতীয় বারের মতো ‘মেশিন ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড ইমার্জিং টেকনোলজিস’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক কনফারেন্সের আয়োজন করা হয়েছে।
শনিবার (৯ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন-২ এর সম্মেলন কক্ষে দু’দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানের সমাপনী অনুষ্ঠিত হয়।
আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক মো. ইফতেখারুল আলম ইফাতের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবু ইউসুফ। বিশেষ অতিথি ছিলেন নোবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড.মুহাম্মদ ইসমাইল, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান ভূঁঞা, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন।
সম্মেলনে কি-নোট স্পিকার ছিলেন অধ্যাপক অধ্যাপক নিকোলা কাসাবভ, অধ্যাপক মোহাম্মদ স্লিম আলুইনি, অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, অধ্যাপক সোজো ইনু এবং অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলী মনি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবু ইউসুফ বলেন, ‘বর্তমান বিশ্ব হচ্ছে প্রযুক্তির বিশ্ব। এ সময়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হলে প্রযুক্তি কেন্দ্রিক গবেষণায় মনোযোগ দিতে হবে। আমাদের ইন্ডাস্ট্রি এবং অ্যাকাডেমির মধ্যে সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে। যদি আমরা ইন্ডাস্ট্রি এবং অ্যাকাডেমির মধ্যে সম্পর্ক গড়ে তুলতে না পারলে প্রযুক্তিগত উন্নয়ন করা সম্ভব হবে না।’
প্রযুক্তি নির্ভর বাংলাদেশ গড়তে এ ধরনের সম্মেলন তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রাখবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এ সম্মেলনে অ্যাকাডেমি ও ইন্ডাস্ট্রির একটি সংযোগ রয়েছে। এখানে উভয় শ্রেণির প্রতিনিধিত্ব রয়েছে। মেশিন ইন্টেলিজেন্স, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, ডাটা সায়েন্স, সাইবার সিকিউরিটিসহ নতুন নতুন প্রযুক্তির বিভিন্ন দিক নিয়ে এ সম্মেলনে আলোচনা হয়েছে, যা প্রযুক্তি নির্ভর বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমাদের প্রেরণা যোগাবে।’
প্রসঙ্গত, শুক্রবার (৮ নভেম্বর) দু’দিনব্যাপী এ সম্মেলন শুরু হয়। নোবিপ্রবির ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজি (আইআইটি) ও পাঁচটি বিভাগ ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমস (এমআইএস), কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসটিই), ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই), ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (আইসিই) ও পরিসংখ্যান যৌথভাবে এ সম্মেলনের আয়োজন করেছে।
সম্মেলনে বাংলাদেশ ছাড়াও বিভিন্ন দেশের বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রতিষ্ঠানের ২১৬ জন গবেষক ৪৬টি গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। ইভেন্টগুলোর মধ্যে ছিল টেকনিক্যাল সেশন, কি-নোট সেশন, গ্রাজুয়েট ফোরাম। সম্মেলনে টেকনিক্যাল ট্র্যাকস হিসেবে ছিলেন এআই অ্যান্ড সফট কম্পিউটিং, স্মার্ট সেন্সিং অ্যান্ড সিকিউরিটি, ইমেজিং অ্যান্ড কম্পিউটার ভিশন।