আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে সোমবার (১১ নভেম্বর) শুরু হয়েছে কপ-২৯ সম্মেলন। সারা বিশ্ব থেকে ৩২ হাজার জলবায়ু আন্দোলনের সক্রিয় কর্মী এতে অংশগ্রহণ করছেন। সম্মেলনটি আগামী ২২ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে বলে জানা গেছে।
এ কপ-২৯ সম্মেলনে বাংলাদেশ থেকে অন্যতম প্রতিনিধি হিসেবে অংশ নিচ্ছেন সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের (গবি) শিক্ষার্থী এসএম শাহিন আলম।
গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান ও সমাজকর্ম বিভাগের এ শিক্ষার্থী পরিবেশবাদী সংগঠন ইয়ুথনেট ফর ক্লাইমেট জাস্টিস এর ঢাকা বিভাগের সমন্বয়ক। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়ের ব্যাজ নিয়ে ন্যাচার কনজার্ভেশন ম্যানেজমেন্টের (ন্যাকম) অর্থায়নে তিনি এ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করছেন।
সোমবার থেকে শুরু হওয়া কপ-২৯ সম্মেলনে যোগ দিতে তিনি সকালে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বাকুর উদ্দেশ্যে রওনা দেন।
কপ ২৯-এ বাংলাদেশের এজেন্ডা থাকবে তিনটি প্রধান বিষয়কে কেন্দ্র করে। এগুলো হচ্ছে- জলবায়ু অর্থায়ন, অভিযোজন বাস্তবায়ন ও ক্ষয়ক্ষতির তহবিল কার্যকর করা। এ বিষয়ে বাংলাদেশের সরকারি দলের হয়ে প্রস্তাবনা রাখবেন শাহিন।
এসএম শাহিন আলম সাতক্ষীরার শ্যামনগরের বাসিন্দা। এ এলাকাটি জলবায়ু পরিবর্তনের দ্বারা ব্যাপকভাবে প্রভাবিত এলাকা হিসেবে চিহ্নিত। এলাকাটির প্রতিনিধি হিসেবে একজন নেচার কনজারভেশন ম্যানেজমেন্ট (এনএসিওএম) এবং ক্লাইমেট অ্যাম্বিশন সাপোর্ট অ্যালায়েন্স (সিএএসএ) ফেলো হিসেবে সম্মেলনে থাকবেন তিনি।
অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে শাহিন আলম রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে সরকারি ব্যাজ নিয়ে দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করতে পারাটা বেশ আনন্দের। সমস্ত বিশ্ব নেতাদের সঙ্গে একই বৈঠকে গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে উপস্থিত হতে পারাও গৌরবের। দেশের অধিকার ও স্থিতিস্থাপকতার পক্ষে প্রতিনিধিত্ব করতে প্রতিশ্রুতি বদ্ধ হয়েই একটি টেকসই, ন্যায়সঙ্গত ভবিষ্যতের দিকে কাজ করতে চাই।’
এ বিষয়ে গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবুল হোসেন ওই শিক্ষার্থীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, ‘শাহিন আমাদের গর্ব। আমরা চাই গবি থেকে শাহিনের মত হাজারো যুবক তৈরি হোক, যারা সারা পৃথিবীতে দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করবে। সকল উদীয়মান সন্তানদের সাফল্য কামনা করি।’
উল্লেখ্য, গণ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এবারই প্রথম বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে কেউ প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পেয়েছেন। কপ এর সর্বশেষ সম্মেলনটি ২০২৩ সায়ে এ দুবাইতে অনুষ্ঠিত হয়।