বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ বি এম ওবাইদুল ইসলাম বলেছেন, ‘জিয়া একটা নাম, যার অপর নাম বাংলাদেশ। জিয়ার বাইরে বাংলাদেশের অস্তিত্ব নেই। তিনি স্বাধীনতা ঘোষণা না করলে পৃথিবীর ইতিহাসে বাংলাদেশের নাম থাকতো না। স্বাধীনতার অপর নাম শহিদ জিয়াউর রহমান। তবে গত ১৫ বছর ধরে তাকেই বেশি বিতর্কিত করেছেন আওয়ামী সরকার। বাবার নামের চেয়ে শহিদ জিয়াউর রহমানের পরিবারের নাম বেশি নিতেন শেখ হাসিনা।’
সোমবার (১১ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টায় রাবির জিয়া পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত মহান বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে ‘৭ই নভেম্বর চেতনা; সার্বভৌম ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার প্রেরণা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন ।
তিনি বলেন, ‘জিয়া পরিবার না থাকলে বাংলাদেশের অস্তিত্ব থাকতো না। যেখানে সফলতা সেখানেই বিএনপি, যেখানে ব্যর্থতা সেখানে আওয়ামী লীগের অবস্থান। ১৪ জুলাই শেখ হাসিনা ও ওবায়দুল কাদের যা বলেছিলেন, তা আল্লাহর পক্ষ থেকে গজব হয়ে আসছিল। এর ফলে তাদের পতন ঘটেছে। তাদের মধ্যে দেশপ্রেম ছিল না বলে তারা পালিয়ে গেছে। আমরা পালাবো না, বাংলাদেশ আমরাই বিনির্মাণ করবো।’
রাবি জিয়া পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. ফরিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় প্রধান আলোচকের বক্তব্য জিয়া পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব অধ্যাপক ড. মো. এমতাজ হোসেন বলেন, ‘ফ্যাসিবাদ সরকার সবসময় শহিদ জিয়াউর রহমানের নামে অপপ্রচার চালিয়েছেন। পুরো বিশ্বের কাছে শহিদ জিয়াউর রহমানকে ছোট করার চেষ্টা করেছে শেখ হাসিনা সরকার। আমরা বিভিন্ন কারণে সেই অপপ্রচারের জবাব দিতে পারিনি।
রাবি জিয়া পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. মোহা. এনামুল হকের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত কেন্দ্রীয় জিয়া পরিষদের সহ-সভাপতি ড. সি এম মোস্তফা। এছাড়াও অধ্যাপক ড. শামসুল আলম সরকার, অধ্যাপক ড. মো. হাবীবুর রহমান, অধ্যাপক ড. মো. মামুনুর রশিদ, অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল আলীম, অধ্যাপক ড. মো. আমীরুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. জি এম শফিউর রহমান, অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।