যৌন হয়রানির অভিযোগ থেকে অব্যহতি পেয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মোহা. এনামুল হক। মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে অনুষ্ঠিত ৫৩৪তম সিন্ডিকেট সভার ৭৯নং প্রস্তাবে এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সিন্ডিকেট সূত্রে জানা গেছে, সহকর্মীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মোহা. এনামুল হককে ৫২৫তম সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্তে দুই বছরের জন্য অ্যাকাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেয় বিগত প্রশাসন। সরকার পরিবর্তনের পর অধ্যাপক এনামুল হককে পাঠদানে ফেরাতে দফায় দফায় বিভিন্ন কর্মসূচিতে আন্দোলন করেন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমান প্রশাসন এ বিষয়ে একটি রিভিউ তদন্ত কমিটি গঠন করেন। তদন্ত কমিটির রিপোর্ট ও সুপারিশের ভিত্তিতে মঙ্গলবার ৫৩৪তম সিন্ডিকেটে গত বছর ২২ অক্টোবর অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত রহিত করা হয় এবং ওই তারিখ থেকে অধ্যাপক মোহা. এনামুল হককে যৌন হয়রানির অভিযোগ থেকে অব্যহতি প্রদান করা হয়। এখন থেকে এ অধ্যাপক সব ধরনের অ্যাকাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে পারবেন বলে জানা গেছে।
সত্যের বিজয় হয়েছে উল্লেখ করে ভুক্তভোগী অধ্যাপক ড. মোহা. এনামুল হক বলেন, ‘অধ্যাপক মাহবুবা কানিজ কেয়া দলের পরিচয়ে আমাকেসহ বিভাগের সব শিক্ষকের উপর মানসিক টর্চার করেছেন। অবৈধভাবে আমার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ এনে নিজেই কমিটি গঠন করেছেন এবং সেখানে তারই লোকজনই ছিল। বিগত প্রশাসক কানিজের পক্ষ নিয়ে আমাকে দুই বছরের জন্য বিভাগের অ্যাকাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি প্রদান করেন। বিভাগের শিক্ষার্থীরা আমার পক্ষ নেওয়ায় তাদেরও পরীক্ষার খাতায় নম্বর কম দেওয়া হয়।’
মাহবুবা কানিজ কেয়াসহ ওই সময়ে গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্যদের বিচার চেয়ে তিনি বলেন, ‘তারা সবাই আমার সঙ্গে অন্যায় করেছেন। কারণ আমি বিএনপির আদর্শকে ধারণ করে রাজনীতি করতাম। তদন্ত কমিটির সদস্যরা তদন্ত না করেই রিপোর্ট জমা দিয়েছেন। তদন্তে গাফিলতি করার অভিযোগে তাদের শাস্তির আওতায় আনা হোক।’
মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মাহবুবা কানিজ কেয়ার সঙ্গে ‘অশালীন’ আচরণের অভিযোগে গত ২০২৩ সালের ২২ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫২৫তম সিন্ডিকেট সভার এক সিদ্ধান্তে একই বিভাগের অধ্যাপক এনামুল হককে দুই বছরের জন্য অব্যাহতি দেওয়া হয়।