রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে অনশনরত শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের আশ্বাসে কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছেন। শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) দুপুরে কর্মসূচির শুরুর প্রায় ১৮ ঘণ্টা পর তারা অনশন ভাঙেন।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় জোহা চত্বরে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে আমরণ অনশন শুরু করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শিক্ষার্থী।
আমরণ অনশনে বসা শিক্ষার্থীরা হলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পপুলেশন সাইন্স অ্যান্ড হিউম্যান রিসোর্স বিভাগের শিক্ষার্থী মেহেদি হাসান মারুফ, সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষার্থী আবুল কলাম আজাদ, ফার্সি বিভাগের শিক্ষার্থী ওয়াজেদ, ফোকলোর বিভাগের শিক্ষার্থী আল-শাহরিয়া এবং শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়াবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান মাসুম।
উপাচার্য সালেহ হাসান নকীব জানান, পোষ্য কোটার বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য আগামীকাল রিভিউ কমিটি বসবে। তারা পর্যালোচনা করে এটি পরিবর্তন করবেন।
এ সময় অনশনরত একজন শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমরা আপাতত এটা স্থগিত করছি। আগামীকালের মধ্যে যদি সিদ্ধান্ত না আসে, আমাদের দাবির সঠিক প্রতিফলন যদি না ঘটে, তাহলে আমরা আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবো। এছাড়া রিভিউ কমিটিতে যদি কোনো ফ্যাসিস্টের দোসর থাকে, তাদের আমরা চিনি। কিভাবে তাদের বিদায় করতে হয়, সে পথ আমাদের জানা আছে।’
গত বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের পরীক্ষার ভর্তি কমিটি সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ভর্তি পরীক্ষায় মুক্তিযোদ্ধা নাতি-নাতনি কোটা বাতিল করা হয়েছে । তবে এ কোটায় শুধু মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের বিবেচনা করা হবে। পোষ্য কোটা ৪% থেকে কমিয়ে ৩% বহাল রাখা হয়েছে। এছাড়া, শারীরিক প্রতিবন্ধী, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ও খেলোয়াড় কোটার ক্ষেত্রে পূর্বের নিয়ম বহাল রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।