ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) লালন শাহ হলে র্যাগিংয়ের ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় নয়জনকে আসামী করে ইবি থানায় এ মামলা দায়ের করা হয়।
মামলার বাদী হলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০২৩-২৪ বর্ষের শিক্ষার্থী ভুক্তভোগী মো. তারেক।
মামলার আসামীরা হলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০২২-২৩ বর্ষের সাব্বির হোসেন, শরীফ শেখ শেহান, শরিফুল ইসলাম লিমন, কান্ত বড়ুয়া, জিহাদ, শফিউল্লাহ, তরিকুল, মুকুল এবং আইন ও ভূমি ব্যবস্থাপনা বিভাগের ২০২২-২৩ বর্ষের সঞ্চয় বড়ুয়া।
এদের মধ্যে থানা হেফাজতে থাকা সাব্বির, শেহান, লিমন, কান্ত ও সঞ্জয়কে কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ। পরে আদালত আসামীদের জেলহাজতে প্রেরণ করেন।
এ বিষয়ে মামলা তদন্ত কর্মকর্তা নাসির উদ্দীন বলেন, “দণ্ডবিধির ৩২৩, ৫০৬ নং ধারা অনুযায়ী মোট নয়জন শিক্ষার্থীকে আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। থানায় আটককৃত পাঁচজনকে কোর্টে চালান করা হয়েছে।”
আরও পড়ুন: ইবিতে র্যাগিংয়ের অভিযোগে ৬ শিক্ষার্থীকে থানায় সোপর্দ
ইবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ ফরিদ উদ্দীন বলেন, “সোমবার (১৮ নভেম্বর) রাতে র্যাগিংয়ের সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পরে র্যাগিংয়ে জড়িতদের পুলিশের নিকট সোপর্দ করেন শিক্ষার্থীরা। এরপর আজ মঙ্গলবার ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের মধ্যে মো. তারেক নামে একজন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। ফলে আজ (মঙ্গলবার) কুষ্টিয়া কোর্টে আসামিদের প্রেরণ করা হয়েছে।”
সোমবার (১৮ নভেম্বর) মধ্যরাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের লালন হলের ৩৩০ নম্বর কক্ষে র্যাগিংয়ের ঘটনা ঘটেছে। এতে র্যাগিংয়ের নামে জুনিয়র শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় জড়িতদের আটক করে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের মাধ্যমে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
এদিকে র্যাগিংয়ের ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে সংশ্লিষ্ট হল প্রশাসন।