সাহিত্য অঙ্গনে বিশেষ অবদান রাখায় ভারতের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ প্রেমচাঁদ ফেলোশিপ পেয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. সফিকুন্নবী সামাদী।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) দিল্লি সাহিত্য অকাদেমির অডিটোরিয়ামে তাকে এ ফেলোশিপ প্রদান করা হয়। বুধবার (২০ নভেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অধ্যাপক সামাদী নিজেই।
জানা গেছে, অধ্যাপক ড. সফিকুন্নবী সামাদী তার পিএইচডিতে মুন্সী প্রেমচাঁদ ও শরৎচন্দ্রের তুলনামূলক গবেষণা করেছেন। এছাড়া তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় ও নজরুলের গান নিয়েও কাজ করেছেন তিনি।
এ পর্যন্ত উর্দু ও হিন্দি ভাষার অন্তত ২০টি বই বাংলায় অনুবাদ করেছেন অধ্যাপক সামাদী। চতুর্থ বাংলাদেশি হিসেবে এ পুরস্কার অর্জন করেন তিনি।
পুরস্কার প্রদানের সময় সাহিত্য অকাদেমির সভাপতি ড. মাধব কৌশিক বলেন, “অধ্যাপক সামাদী ভারতীয় সাহিত্যকে আন্তর্জাতিক রূপ দিতে সাহায্য করেছেন। অধ্যাপক সামাদী একজন আদর্শ বিশ্ব নাগরিক। এমন লেখকরা না থাকলে বিশ্ব নাগরিকত্বের ধারণাটি শহরের গণ্ডি পেরোতে পারত না।”
অধ্যাপক সামাদী ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে একটি অর্থবহ সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ চালিয়ে যাবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন ড. মাধব কৌশিক।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যাপক ড. সফিকুন্নবী সামাদী বলেন, “এটা অবশ্যই একটি সম্মাননার ব্যাপার। পুরস্কার পেলে অবশ্যই অনেক ভালো লাগা কাজ করে। তবে পুরস্কার পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অনেক দায়িত্বও বেড়ে যায়। আমাকে যে কাজের জন্য পুরস্কারটা দেওয়া হয়েছে, তার প্রতি আরও এক বড় দায়িত্ব বেড়ে গেছে। যতদিন সামর্থ্য থাকে, ততদিন কাজ করে যেতে হবে।”
এ ফেলোশিপটি বাংলা সাহিত্য, সংস্কৃতি ও গবেষণার ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্য থেকে প্রতিবছর একজন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে প্রদান করা হয়। এর আগেও বাংলাদেশ থেকে তিনজন বিশিষ্ঠ ব্যক্তি এ পুরস্কার লাভ করেন।