বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) মাদকবিরোধী সচেতনতামূলক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সময় শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে মাদকের সচেতনতা ও ক্ষতিকর দিক নিয়ে আলোচনা করা হয়।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন মিলনায়তনে ‘মাদকমুক্ত দেশ গড়ি, মাদককে না বলি’ প্রতিপাদ্যে মাদকমুক্ত দেশ গড়ার লক্ষ্যে বাংলাদেশ পুলিশ ময়মনসিংহ রেঞ্জ ও বাকৃবির যৌথ উদ্যোগে এ সভার আয়োজন করা হয়।
প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আবদুল আলীমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. কে. ফজলুল হক ভূঁইয়া। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবির ডিন কাউন্সিলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. গোলাম রাব্বানী, বাকৃবির ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মো. শহীদুল হক, বাকৃবির উচ্চ শিক্ষা ও গবেষণা বিষয়ক কো-অর্ডিনেটর অধ্যাপক ড. মো. সামছুল আলম ও বাকৃবির প্রাধ্যক্ষ পরিষদের কাউন্সিলের আহ্বায়ক ড. মো. রুহুল আমিন।
এছাড়া প্রধান আলোচক হিসেবে বাংলাদেশ পুলিশের ময়মনসিংহ রেঞ্জের ডিআইজি ড. মো. আশরাফুর রহমান এবং বিশেষ আলোচক হিসেবে অতিরিক্ত ডিআইজি ও পুলিশ সুপার মো. আজিজুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
সভায় বক্তারা মাদকের পরিচিতি, মানবদেহে মাদকের ক্ষতিকর প্রভাব, মাদকের পারিবারিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। এছাড়াও মাদক থেকে পরিত্রাণ, মাদক সম্পর্কিত আইন ও সাজাসহ বিভিন্ন বিষয়ে অনুষ্ঠানে আলোকপাত করা হয়।
ময়মনসিংহ রেঞ্জের ডিআইজি ড. মো. আশরাফুর রহমান বলেন, “বাংলাদেশে প্রায় ৭৩ লাখ মানুষ মাদকাসক্ত। মাদকাসক্তের ৪৮ শতাংশ শিক্ষিত জনগোষ্ঠী। কিশোর ও তরুণদের মধ্যে মাদকাসক্ত হওয়ার প্রবণতা সবচেয়ে বেশি। বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো একটি সুন্দর প্রাঙ্গণে মাদকের মতো একটি ভয়ংকর বিষয় থাকতে পারে না।”
তিনি বলেন, “মাদকের কারণ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে নিছক আনন্দ ও কৌতূহল, সঙ্গদোষ, হতাশা প্রভৃতি পরিলক্ষিত হয়েছে। মাদকাসক্তির পরিণতি অকাল মৃত্যু। বাংলাদেশের মানুষ যেন মাদকাসক্ত না হয়। এজন্য মাদকাসক্ত নিরসন ও সোনার বাংলা বিনির্মাণে সচেতন জনগোষ্ঠীর সবাইকে একযোগে এগিয়ে আসতে হবে।”
বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. একে ফজলুল হক ভূঁইয়া বলেন, মাদকের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়কে মাদকমুক্ত করতে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা, কর্মচারী, শিক্ষকবৃন্দ সবাই মাদকমুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় গঠন করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো।”