জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী আফসানা রাচির মৃত্যুর ঘটনায় জড়িত রিকশা চালককে গ্রেপ্তারের দাবিতে প্রশাসনিক ভবন অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষার্থীরা। দীর্ঘ ৫ ঘণ্টা পর উপাচার্যের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেন তারা।
রোববার (২৪ নভেম্বর) সকাল ৮টা থেকে প্রশাসনিক ভবনের ফটকে তালা দিয়ে অবরোধ করেন প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা পাঁচদিন পেরিয়ে গেলেও কেনো ঘাতক রিকশা চালককে চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার করা হয়নি, সে প্রশ্ন তোলেন।
অবরোধের একপর্যায়ে সেখানে উপস্থিত হন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক কামরুল আহসান এবং এ ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান ফার্মেসি বিভাগের অধ্যাপক মাসুম শাহরিয়ার ও সদস্য কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান।
এ সময় শিক্ষার্থীদের সামনে মামলার অগ্রগতি তুলে ধরে তদন্ত কমিটি প্রধান মাসুম শাহরিয়ার বলেন, “আমরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। গতকাল (শনিবার) রাতেও আমরা ৩টা পর্যন্ত কাজ করেছি। ইতোমধ্যে আমরা রিকশা চালকের একটা স্কেচ তৈরি করেছি। সে অনুযায়ী আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে। এছাড়াও ফোন নাম্বার ট্রেস করার মাধ্যমে ঘাতক রিকশা চালককে খোঁজার চেষ্টা অব্যহত রেখেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআই কাজ করেছে।”
তদন্ত কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, “রিকশা চালক বাদে আমরা তিনজন প্রত্যক্ষদর্শীকে শনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছি। তাদের সহায়তায় স্কেচ তৈরি হয়েছে। রিকশার যাত্রীরা অল্প বয়সী শ্রমিক। সব ধরনের চেষ্টা অব্যহত রেখেছি ঘাতককে চিহ্নিত করতে।”
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে জাবি উপাচার্য অধ্যাপক কামরুল আহসান বলেন, “আমার নৈতিক দায়িত্ব এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করার জন্য পদক্ষেপ নেওয়া। আমি আমার জায়গা থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। তোমাদের কাছ থেকে আমি সহযোগিতা কামনা করছি। তোমাদের দাবি যেগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন সম্ভব, সেগুলো নিয়ে আমরা কাজ করছি। আগামী মঙ্গলবারের মধ্যে৷ তার ফলাফল দেখতে পাবে।”
তিনি বলেন, “যে দাবিগুলো পুরোপুরি আমার হাতে নেই, সেগুলোর ক্ষেত্রে আমি চেষ্টা চালিয়ে যেতে পারি। কিন্তু ফলাফল আমার হাতে নেই। তবে এটুকু বলতে পারি, আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আগামী সাতদিনের মধ্যে ফলাফল পাবো বলে আশা করছি।”
এরপর শিক্ষার্থীরা আশ্বস্ত হয়ে উপাচার্যের কাছে এর লিখিত ডকুমেন্ট চান এবং অবরোধ তুলে নিলেও অপরাধীকে গ্রেপ্তার করা না পর্যন্ত ক্লাস পরীক্ষায় বর্জন কার্যক্রম চলমান থাকবে বলে জানান।