ক্যাম্পাস

বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে আতশবাজি বন্ধের দাবি

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) আতশবাজি বন্ধের অনুরোধ জানিয়ে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে পরিবেশবাদী সংগঠন ডিপ ইকোলজি অ্যান্ড স্নেক কনজারভেশন ফাউন্ডেশন।

রোববার (২৪ নভেম্বর) বেলা ৩টায় উপাচার্যের কার্যালয়ে গিয়ে সংগঠনটির সভাপতি আব্দুল কাইউয়ুম ও সাধারণ সম্পাদক ছাফওয়ানুর রহমান স্বাক্ষরিত স্মারকলিপি দেওয়া হয়। এ সময় সংগঠনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, “তথ্য, প্রকাশনা ও জনসংযোগ দপ্তরের ফেইসবুক পোস্টের মাধ্যমে জেনেছি রোববার (২৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে আতশবাজি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। আতশবাজি শব্দদূষণ এবং বায়ুদূষণ ঘটায়। বিভিন্ন সময় আতশবাজিতে ব্যাপক পাখি ও অন্যান্য বন্যপ্রাণীর মৃত্যু ঘটে। এটা বন্যপ্রাণীদের স্বাভাবিক জীবন যাত্রায় ব্যাঘাত ঘটায় এবং জীব বৈচিত্র্যের ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে।”

আরও বলা হয়েছে, “প্রতিবছর আতশবাজিতে অনেক দুর্ঘটনার পাশাপাশি শিশু, বৃদ্ধসহ অসুস্থরা ভোগান্তির শিকার হন। আতশবাজি বাংলাদেশের প্রচলিত বিস্ফোরক আইন, ১৮৮৪ অনুযায়ী নিষিদ্ধও। তাই আমরা ডিপ ইকোলজি অ্যান্ড স্নেক কনজারভেশন ফাউন্ডেশনের ইবি শাখার সদস্যবৃন্দ বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের আয়োজনে আতশবাজি উৎসব বন্ধ করার জন্য বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি।”

সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক ছাফওয়ানুর রহমান বলেন, “আমরা বেলা ৩টার দিকে স্মারকলিপি দিয়েছি। উপাচার্য স্যার ছিলেন না। আমার তার অফিসে দিয়ে এসেছি। উপাচার্যের কাছে সেটি পৌঁছানো হয়েছে বলে জেনেছি। আমাদের আকুল আবেদন- মানুষ, পরিবেশ ও বন্যপ্রাণীর ক্ষতির দিক বিবেচনা করে অনুষ্ঠানে আতশবাজি বন্ধের বিষয়টি যেন বিবেচনা করা হয়।”

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. আলিনূর রহমান বলেন, “আমরা উপাচার্যের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভাতেই আতশবাজির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। স্মারকলিপির বিষয়ে আমি জেনেছি। আমাকেও একটি কপি দেওয়া হয়েছে। উপাচার্য স্যার যেহেতু সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তিনি যা বলবেন আমরা সেটাই করবো।”