ক্যাম্পাস

বিনা উদ্ভাবিত সরিষা চাষ নিয়ে প্রশিক্ষণ কর্মশালা

বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) উদ্ভাবিত সম্প্রসারণযোগ্য সরিষার জাতগুলোর চাষাবাদ পদ্ধতি, বীজ উৎপাদন ও সংরক্ষণ কলাকৌশল নিয়ে প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (২৫ নভেম্বর) সকাল ১১টায় বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) ক্যাম্পাসে অবস্থিত বিনা মিলনায়তন কক্ষে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। বিনার গবেষণা কার্যক্রম শক্তিশালীকরণ প্রকল্পের অর্থায়নে আয়োজিত কর্মশালায় ময়মনসিংহের চর ঈশ্বরদিয়া অঞ্চলের অর্ধ শতাধিক কৃষক ও কৃষাণী অংশগ্রহণ করেন।

বিনার প্রশিক্ষণ ও পরিকল্পনা বিভাগের পরিচালক ড. শরিফুল হক ভূঞার সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিনার গবেষণা বিভাগের পরিচালক ড. মো ইকরাম উল হক।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিনার বোর্ড অফ ম্যানেজমেন্টের সদস্য মো. শরিফুল আলম সোহেল, গবেষণা কার্যক্রম শক্তিশালীকরণ প্রকল্পের উপ-প্রকল্প পরিচালক ড. মো. আশিকুর রহমান, ময়মনসিংহ বিভাগীয় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. মোছা. নাছরিন আক্তার বানু। এছাড়াও কো-অর্ডিনেটর হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিনার ফলিত গবেষণা ও সম্প্রসারণ বিভাগের পিএসও এবং প্রধান ড. শামীমা বেগম।

অনুষ্ঠানে অতিথিরা সরিষার জাতসমূহের বিশেষ বৈশিষ্ট্য, চাষোপযোগী অঞ্চল ও জমি নির্বাচন, জমি তৈরি, বীজ বপনকাল, বপন পদ্ধতি ও বীজ হার, সারের পরিমাণ ও প্রয়োগ পদ্ধতি, আন্তঃপরিচর্যা ও সেচ, রোগ দমন, পোকা দমন, ফসল কর্তন, বীজ শুকানো ও সংরক্ষণ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করেন।

বিনা উদ্ভাবিত জাতগুলোর মধ্যে বিনা সরিষা-৭ জাতটি প্রতি হেক্টরে সর্বোচ্চ ২.৮ টন এবং স্বল্প জীবনকালের বিনা সরিষা-১১ জাতটি বীজ থেকে সর্বোচ্চ তেল পাওয়া যায় বলে জানান অতিথিরা।

অনুষ্ঠানে ড. মো. ইকরাম উল হক বলেন, “চর ঈশ্বরদিয়া অঞ্চলের মানুষ বিনাধান চাষ করে আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। তাই বিনা সরিষা জাত উৎপাদনের ক্ষেত্রে এ অঞ্চলের মানুষকে যেন ভুক্তভোগী না হতে হয়, তাই এ প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়েছে।”

তিনি বলেন, “প্রশিক্ষণ শেষে আপনারা বীজ সংরক্ষণ বিষয়েও জানতে পারবেন। আপনারা সরিষার বীজ ভালোভাবে সংরক্ষণ করলে তা পরবর্তীতে বেশি দামে বিক্রি করে লাভবান হতে পারবেন। পাশাপাশি ফসল উৎপাদনের পূর্বে ও আবাদের সময় সবাই যেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে। তাহলে সঠিক সময়ে সঠিক দিকনির্দেশনা ও পরিচর্যার মাধ্যমে সরিষার কাঙ্ক্ষিত ফলন পাবেন।”