ক্যাম্পাস

চিন্ময় প্রভুকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে চবিতে মানববন্ধন

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) সনাতনী আন্দোলনের অন্যতম মুখপাত্র শ্রী শ্রী চিন্ময় কৃষ্ণ দাস প্রভুকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে মানববন্ধন করা হয়েছে। একইসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃত বিভাগের শিক্ষক ড. কুশল বরণ চক্রবর্তীর ওপর হামলারও প্রতিবাদ জানানো হয়।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টায় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এ মানববন্ধনের আয়োজন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সনাতনী শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।

এ সময় বক্তারা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস প্রভুর মুক্তি ও চবি সংস্কৃত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. কুশল বরণ চক্রবর্তীর ওপর হামলার বিচারের দাবি জানান।

সংস্কৃত বিভাগের স্নাতকোত্তর বর্ষের শিক্ষার্থী প্রবীন সেন বলেন, “১৯৭১ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত প্রতিটি পট পরিবর্তনে সনাতনীদেরও অংশীদারীত্ব আছে। অথচ পরিবর্তনের পরে প্রতিবারই আঘাতটা আসে সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে। আমরা এ অবস্থার পরিবর্তন চাই। আমাদের নাগরিক অধিকার ও উপসনালয়গুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব।”

প্রাণ রসায়ন ও অনুপ্রাণ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. রামেন্দু পারিয়াল বলেন, “সনাতনী জাগরণী মঞ্চের মুখপাত্র সর্বজন শ্রদ্ধেয় চিন্ময় প্রভুকে যেভাবে গ্রেপ্তার করা হলো এবং আমাদের সহকর্মী কুশল বরণ চক্রবর্তীর উপর যেভাবে ন্যাক্কারজনক হামলা করা হলো, বাংলাদেশের একজন নাগরিক হিসেবে এবং একজন চবি শিক্ষক হিসেবে আমি এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। একইসঙ্গে আমাদের চিন্ময় প্রভুর অবিলম্বে মুক্তির দাবি করছি।”

তিনি বলেন, “আমরা সনাতনীদের যুক্তিসঙ্গত দাবি নিয়ে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছি। সরকার যদি মনে করে এক চিন্ময় প্রভুকে গ্রেপ্তার করে এ আন্দোলন থামানো যাবে, তাহলে অনেক বড় ভুল হবে। বরং, আন্দোলন আরো দ্বিগুণ হবে। দূর্গাপূজায় পাঁচদিন ছুটি চাওয়া যদি অপরাধ হয়, তাহলে এ অপরাধ আমি বারবার করবো। আমরা এখনো আশাবাদী, সরকার একটা সুন্দর সিদ্ধান্তে পৌঁছাবে “

রসায়ন বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. তাপসী ঘোষ রায় বলেন, “সনাতনী জাগরণ মঞ্চের বক্তব্য রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে নয়। বরং এখানে আমরা অধিকার কথা বলছি।”

মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. সজীব কুমার ঘোষ বলেন, “আমরা সবাই বাংলাদেশী। নাগরিক হিসেবে আমাদের প্রত্যেকের অধিকার সমান। কোনো সনাতনী অপরাধ করলে রাষ্ট্রীয় আইনে আমরাও তার বিচার চাই। এ ব্যপারে আমাদের কোনো বক্তব্য নাই। কিন্তু কেউ যখন সনাতনীদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য কথা বলেন, তাকে রাষ্ট্রদ্রোহী বলা হলে আমরা কার কাছে যাবো?”

তিনি বলেন, “ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে আমাদের অনেক বেশিই প্রত্যাশা। আশা রাখি, তিনি আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করবেন। যেখানে ধর্মের ভিত্তিতে কোনো বৈষম্য করা হবে না।”