ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত জাতীয় বস্ত্র প্রকৌশল ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (নিটার) অষ্টম ব্যাচের ফ্যাশন ডিজাইন অ্যান্ড অ্যাপারেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা সনদ সমস্যার সমাধান পেতে যাচ্ছেন। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর এ সমাধানে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন তারা।
জানা গেছে, নিটারে ২০১৭-১৮ সেশনে ‘ফ্যাশন অ্যান্ড অ্যাপারেল ডিজাইন’ নামে পৃথক একটি বিভাগ চালু করা হয়। তবে ২০১৮-১৯ সেশনে এ বিভাগের নাম পরিবর্তন করে ফ্যাশন ডিজাইন অ্যান্ড অ্যাপারেল ইঞ্জিনিয়ারিং রাখা হয়। এতে ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থীদের নতুন নামে অন্তর্ভুক্ত করে তাদের পাঠ্যক্রমে পরিবর্তন আনা হয়।
২০২২ সালে ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থীদের গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন হওয়ার পর তাদের সনদে শুধু ‘ফ্যাশন অ্যান্ড অ্যাপারেল ডিজাইন’ উল্লেখ করা হয়। ফলে চাকরির ক্ষেত্রে ও উচ্চশিক্ষার জন্য আবেদন করতে গিয়ে এ শিক্ষার্থীরা নানা সমস্যায় পড়েন।
অষ্টম ব্যাচের ফ্যাশন ডিজাইন অ্যান্ড অ্যাপারেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী নূর-ঈ-বিন রেজা বলেন, “আমাদের প্রথম বর্ষেই হঠাৎ করে বলা হয় বিভাগের নাম ও পাঠ্যক্রমে পরিবর্তন আসবে। আমাদের স্নাতক শেষে চাকরি ক্ষেত্রে আমার তেমন সমস্যা না হলেও সহপাঠীদের বেশ সমস্যায় পড়তে হয়।”
তিনি আরও বলেন, “সনদ ইস্যু না হওয়ার কারণে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক ও অধাপক পদ, বিভিন্ন নামকরা ব্র্যান্ডের উল্লেখযোগ্য পদ, বিসিএস এর মৌখিক পরীক্ষা, বহির্বিশ্বে এমবিএ ইত্যাদি ক্ষেত্রে অনেকেরই সুযোগ হাতছাড়া হয়ে যায়। অনেককে বাবার চাকরিচ্যুতও করা হয়েছে। সনদ না দেখাতে পারায় আমার সহপাঠী মাহমুদুল হাসান হৃদয়কে আড়ং থেকে চাকরিচ্যুত করা হয়। একই কারণে ফিনল্যান্ডের এক বিশ্ববিদ্যালয়ে এমবিএ বিভাগে স্কলারশিপ পাওয়া সত্ত্বেও তার ভর্তি বাতিল হয়।”
দীর্ঘ আলোচনা ও দাবি-দাওয়া উত্থাপনের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সর্বশেষ সিন্ডিকেট মিটিংয়ে এই সমস্যার সমাধান করা হয়েছে বলে জানা গেছে। ঢাবি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শিক্ষার্থীদের নতুন সার্টিফিকেটে বিভাগটির নাম ‘ফ্যাশন ডিজাইন অ্যান্ড অ্যাপেরাল ইঞ্জিনিয়ারিং’ হিসেবে উল্লেখ থাকবে। আগামী এক-দুই মাসের মধ্যেই সংশোধিত সনদ সরবরাহ করা হবে।
নিটার অষ্টম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে। ভবিষ্যতে চাকরি ও উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে এ সিদ্ধান্ত তাদের জন্য সহায়ক হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তারা।
এ বিষয়ে নিটারের পরিচালক ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ঢাবি কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। এছাড়াও শিক্ষার্থীদের একাডেমিক ও পেশাগত উন্নয়নে ভবিষ্যতেও তারা সচেষ্ট থাকবেন জানিয়েছেন।