ক্যাম্পাস

কৃষি কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দিলো বিনা

বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটে (বিনা) উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) সকাল ১০ টায় বিনার সেমিনার কক্ষে ‘বিনা উদ্ভাবিত সম্প্রসারণযোগ্য জাতসমূহের চাষাবাদ পদ্ধতি, বীজ উৎপাদন ও সংরক্ষণ কলাকৌশল’ শীর্ষক এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়। বিনার গবেষণা কার্যক্রম শক্তিশালীকরণ প্রকল্পের আওতায় ফলিত গবেষণা ও সম্প্রসারণ বিভাগ এর আয়োজন করে।

জানা গেছে, প্রশিক্ষণে ময়মনসিংহের বিভিন্ন উপজেলার ৩০ জন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা অংশ নেন। প্রশিক্ষণে বিনা উদ্ভাবিত সকল জাতের উপর আলোচনা করা হয়। দেশের কৃষির উন্নয়নে বিনা উদ্ভাবিত উচ্চফলনশীল ও টেকসই জাতের ভূমিকা এবং ভবিষ্যৎ নিয়ে বিস্তারিত তুলে ধরা হয়। এ প্রকল্পের আওতায় ২ হাজার ৫০০ উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

বিনার প্রশিক্ষণ ও পরিকল্পনা বিভাগের পরিচালক ড. শরিফুল হক ভূঞার সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহ অঞ্চলের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক ড. সালমা লাইজু।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিনার বোর্ড অব ম্যানেজমেন্টের সদস্য মো. শফিকুল আলম সোহেল, বিনার গবেষণা কার্যক্রম শক্তিশালীকরণ প্রকল্পের পরিচালক ড. মো. মাহবুবুল আলম তরফদার, উপ-প্রকল্প পরিচালক ড. মোহাম্মদ আশিকুর রহমান। কো-অর্ডিনেটর হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফলিত গবেষণা ও সম্প্রসারণ বিভাগের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. শামীমা বেগম।

এ সময় উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগের মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. শামীমা বেগম বিনা উদ্ভাবিত ১২টি ফসলের ১০৮টি জাতের চাষাবাদ, বীজ উৎপাদন এবং সংরক্ষণ কলাকৌশল নিয়ে আলোচনা করেন।

প্রশিক্ষণে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. সালমা লাইজু বলেন, “বাংলাদেশের কৃষির উন্নয়ন ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিনার উদ্ভাবিত উচ্চ ফলনশীল ও টেকসই জাতসমূহ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। কৃষি কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করে থাকেন। তাই তাদের সঠিক প্রশিক্ষণ ও জ্ঞান সরবরাহ করা কৃষি উন্নয়নের জন্য অপরিহার্য “

তিনি আরও বলেন, “নতুন জাতের চাষাবাদ পদ্ধতি, বীজ উৎপাদন ও সংরক্ষণ সম্পর্কে সঠিক ধারণা প্রদান উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের দক্ষতা বৃদ্ধি করবে। এ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তারা কৃষকদের আরও কার্যকরভাবে সহায়তা করতে পারবেন এবং দেশের কৃষি উৎপাদন আরও বৃদ্ধি পাবে।