ক্যাম্পাস

ডিসেম্বরে ‘শহিদি সপ্তাহ’ পালনের ঘোষণা

ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ‘শহিদি সপ্তাহ’ পালনের ঘোষণা দিয়েছে ইনকিলাব মঞ্চ। সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় দেয়ালে আঁকা জুলাই বিপ্লবের গ্রাফিতি মুছে ফেলার প্রতিবাদে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। 

শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির পায়রা চত্বরে সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করে সংগঠনটি। 

সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইনকিলাব মঞ্চের সদস্য সচিব ফাতিমা তাসনিম জুমা বলেছেন, ‘‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সোশ্যাল সায়েন্স ফ্যাকাল্টি, নটরডেম কলেজ এবং ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গার দেয়ালে ‘খুনি হাসিনা’, ‘ফ্যাসিস্ট হাসিনা’ লেখাসম্বলিত গ্রাফিতি মুছে ফেলা হয়েছে। নান্দনিকতার নামে এসব জায়গায় লতাপাতা এবং অপ্রাসঙ্গিক চিত্রকর্ম করা হয়েছে, যা আমাদের জুলাই বিপ্লবের চেতনার প্রতিনিধিত্ব করে না। আমরা এই ফ্যাসিবাদী তৎপরতার তীব্র নিন্দা জানাই। আমাদের বার্তা জনগণের কাছে পৌঁছাতে যতবার মুছবে, ততবারই আমরা গ্রাফিতি আঁকব।’’  

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি সংবাদ সম্মেলনে শহিদি সপ্তাহের কর্মসূচি ও দাবিগুলো তুলে ধরেন। তিনি জানান, ১ থেকে ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত শহিদি সপ্তাহ পালন করা হবে। 

এ উপলক্ষে তারা কিছু দাবিসহ কর্মসূচি ঘোষণা করেন এবং সরকারি সহায়তায় এসব কর্মসূচি ও দাবি বাস্তবায়নের আহ্বান জানান।  

ইনকিলাব মঞ্চের দাবিগুলো হলো:   ১. প্রতিটি এলাকায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও অফিস প্রাঙ্গণে শহিদি দেয়াল নির্মাণ করতে হবে। সেখানে স্থানীয় শহিদসহ সব শহিদের নাম লেখা থাকবে।  

২. প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শুরু করে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সরকারি-বেসরকারি অফিসে বঙ্গবন্ধু কর্নারের স্থলে ‘বাংলাদেশ কর্নার’ প্রতিস্থাপন করতে হবে। সেখানে ১৯৪৭, ১৯৭১ এবং ২০২৪ সালের জুলাইয়ের স্মৃতি সংরক্ষণ করতে হবে।  

৩. বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরে একটি ডেডিকেটেড ‘জুলাই কর্নার’ নির্মাণ করতে হবে। সেখানে জুলাই বিপ্লবের প্রতিটি স্মৃতি সংরক্ষিত থাকবে।  

৪. ঢাকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে এবং দেশের প্রতিটি উপজেলায় সরকারি উদ্যোগে ‘জাগ্রত জুলাই’ স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করতে হবে। যদি সরকার এটি বাস্তবায়নে ব্যর্থ হয়, তাহলে ইনকিলাব মঞ্চ বিপ্লবী ছাত্র-জনতাকে সঙ্গে নিয়ে শাহবাগে নিজেদের উদ্যোগে ‘জাগ্রত জুলাই’ স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করবে।  

সংবাদ সম্মেলনে ইনকিলাব মঞ্চের নেতারা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, ‘‘জুলাই বিপ্লব আমাদের জাতির পুনর্জাগরণের প্রতীক। আমরা এই চেতনা অম্লান রাখতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাব।’’