ক্যাম্পাস

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) এক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ করেছেন ১৮তম আবর্তনের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের এক শিক্ষার্থী।

মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরে ভুক্তভোগী নারী শিক্ষার্থী তার অভিভাবকসহ বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর বরাবর এ অভিযোগ দেন।

অভিযুক্ত বায়েজিদ আহম্মেদ বাপ্পী গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ১২তম আবর্তনের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে।

অভিযোগপত্র থেকে জানা গেছে, গত ১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ১২তম আবর্তনের শিক্ষার্থী বায়েজিদ আহম্মেদ বাপ্পী ইঞ্জিনিয়ার বাড়ি (বিশ্ববিদ্যালয়ের অদুরে একটি মেয়েদের মেস) থেকে জোরপূর্বক ওই ছাত্রীর মোবাইলে কল দিয়ে দেখা করতে বলেন। পরে ক্যাম্পাসের পার্শ্ববর্তী নির্জন স্থানে নিয়ে জোরপূর্বক শারীরিক ও মানসিকভাবে হেনস্তা করেন। এতে ভুক্তভোগী মানসিকভাবে সম্পূর্ণ অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে দাবি করা হয়েছে অভিযোগপত্রে।

জানা গেছে, অনুমতি ছাড়া ভুক্তভোগীর ছবি তোলেন অভিযুক্ত বায়েজিদ আহম্মেদ বাপ্পী। পরবর্তীতে ছবি তোলার বিষয়টি যাচাইয়ের জন্য প্রক্টরিয়াল টিম বায়েজিদের স্মার্টফোন খুঁজে অভিযোগের সত্যতা পান। তদন্তের স্বার্থে তখন তার ফোনটি প্রক্টর নিজেদের হেফাজতে নিয়ে নেন। পাশাপাশি অভিযোগটি যৌন নির্যাতন সেলে হস্তান্তর করে দেওয়া হয়েছে।

এ নিয়ে বায়েজিদ আহম্মেদ বাপ্পীর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে ফোন জব্দ থাকায় তার সঙ্গে যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।

তবে প্রক্টর অধ্যাপক ড. আব্দুল হাকিম বলেন, “আমরা অভিযোগপত্র পেয়েছিলাম। কিন্তু যে ধরণের অভিযোগ, সেটি যৌন হয়রানি সেলের কাজ। তাই বিষয়টি যৌন হয়রানি সেল দেখবে। আর প্রাথমিকভাবে কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তার ফোন জব্দ করে ক্যাম্পাসে প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।”

হল ছাড়ার বিষয়ে কাজী নজরুল ইসলাম হলের প্রাধ্যক্ষ সহযোগী অধ্যাপক মো. হারুন বলেন, “ওই রুমে আমরা নতুন তালা দিয়েছি৷ পাশপাশি ওই শিক্ষার্থী যাতে হলে বা হলের আশেপাশে না আসে, সে বিষয়ে হল সংশ্লিষ্ট সবাইকে সতর্ক করেছি৷ এর ব্যতিক্রম হলে আমরা প্রক্টর অফিসকে জানাবো।”