বাংলাদেশ একাডেমি অব সায়েন্সেস এবং দ্যা ওয়ার্ল্ড একাডেমি অব সায়েন্সেস এর যৌথ উদ্যোগে বিএএস-টিব্লিউএএস ইয়াং সায়েন্টিস্ট পুরস্কার পেলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) তিন অধ্যাপক।
গত সোমবার (২ ডিসেম্বর) ঢাকায় বাংলাদেশ একাডেমি অব সায়েন্সেস আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে জাতীয় অধ্যাপক ডা. এ কে আজাদ খান ও অধ্যাপক জিনাতুন নেসা তাহমিদা বেগম এ পুরস্কারের পদক ও সনদপত্র প্রদান করেন। বুধবার (৪ ডিসেম্বর) পুরস্কারপ্রাপ্ত রাবির অধ্যাপকরা এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারীজ বিভাগের অধ্যাপক মোহা. ইয়ামিন হোসেনকে ফিশারীজ গবেষণায় অবদানের জন্য ২০১৫ সালের বায়োলজিক্যাল সায়েন্সেস ক্যাটেগরিতে, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মো. আতিকুর রহমান পাটোয়ারীকে পদার্থবিজ্ঞান গবেষণায় অবদানের জন্য ২০১৭ সালের ফিজিক্যাল সায়েন্সেস ক্যাটেগরিতে, উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক আহমদ হুমায়ুন কবীরকে উদ্ভিদবিজ্ঞান গবেষণায় অবদানের জন্য ২০১৭ সালের বায়োলজিক্যাল সায়েন্সেস ক্যাটেগরিতে পুরস্কৃত করা হয়।
এ পুরস্কারটি পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, জীববিজ্ঞান, গণিত, কৃষি, পরিবেশবিজ্ঞান এবং চিকিৎসা বিজ্ঞানসহ মোট সাতটি ক্ষেত্রে বৈজ্ঞানিক উৎকর্ষ ও গবেষণার মাধ্যমে দেশের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখার জন্য প্রদান করা হয়।
উদ্ভাবনী গবেষণা ও বৈজ্ঞানিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখা, ভবিষ্যৎ গবেষণায় তরুণ বিজ্ঞানীদের উৎসাহিত করে তোলা এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অগ্রগতির প্রসার জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে গবেষণার গুরুত্বকে তুলে ধরাই এ পুরস্কারের মুল উদ্দেশ্য।
এ বিষয়ে ফিশারীজ বিভাগের অধ্যাপক মোহা. ইয়ামিন হোসেন বলেন, ইউনেস্কোর ফান্ডে সারা বিশ্বে শিক্ষা গবেষণায় দ্য ওয়ার্ল্ড একাডেমি অব সায়েন্স কাজ করে। বাংলাদেশ একাডেমি অব সায়েন্সেস (বিএএস) প্রথমে এটার আবেদনের মধ্যে ৫ শতাংশ গবেষককে বাচাই করে টিডব্লিউএএস এর সদর দপ্তর ইতালির ত্রিয়েস্তায় পাঠানো হয়। তারা সিলেক্ট করে দেয়। এ পুরস্কারকে ‘ইয়াংদের নোবেল’ও বলা হয়।”
পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক আতিকুর রহমান পাটোয়ারী বলেন, “পুরস্কার পেয়ে আমি খুবই আনন্দিত। এটা শুধু আমার ব্যক্তিগত সম্মান নয়, বরং বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য সম্মান। একই সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য গৌরব ও আনন্দের। এ পুরস্কারের মাধ্যমে ইয়াং অধ্যাপকরা উদ্ভুত হবে।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব বলেন, “পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষকরা অনেক আগেই মনোনীত হয়েছিলেন। কিন্তু বিএএস দিতে অনেক দেরি করে ফেলেছে। তবুও এটা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়কে সম্মানিত করেছেন। মর্যাদাপূর্ণ এ পুরস্কার বিশ্বে ইয়াং স্কলারদের দেওয়া হয়। এই অর্জন অন্য গবেষক ও শিক্ষকদের অনুপ্রাণিত করবে।”