ক্যাম্পাস

ভারতীয় অ্যাম্বাসিতে প্রতিবাদী স্মারকলিপি দেবে ইনকিলাব মঞ্চ

আগামী ৬ ডিসেম্বর ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদ ধ্বংস ও আজমীর শরীফ দখলের পায়তারার প্রতিবাদে ভারতীয় অ্যাম্বাসিতে প্রতিবাদী স্মারকলিপি প্রদানের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (সোমবার) মধুর ক্যান্টিনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ইনকিলাব মঞ্চ।

এ সময় সংগঠনটির মুখপাত্র শরীফ ওসমান বিন হাদী বলেন, “১৯৪৭ সময়ের আইন অনুযায়ী ভারতে কোনো উপাসনা কেন্দ্র ধ্বংস করা যাবে না উল্লেখ ছিল। কিন্তু এখন ভারত সংখ্যালঘুদের উপাসনালয় ধ্বংস করছে। এখন আজমির শরীফ দখলের একটি পায়তারা চলছে। সেখানে শিব মন্দির ছিল দাবি করে ইতোমধ্যে একটি মামলা করা হয়েছে। আমরা স্পষ্ট হয় বলতে চাই, আপনারা যদি এর বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ না আনেন তাহলে কঠিন জবাব দেওয়া হবে।”

তিনি আরো বলেন, “ভারত মুসলমানদের ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদ ধ্বংস করেছে, ক্ষুদ্র উপজাতি পাঙালদের উপরও গণহত্যা চালিয়েছে, মণিপুরের কুকি চিনদের ওপরে গণহত্যা চালিয়েছে। ভারত একমাত্র দেশ, যেখানে সংখ্যালঘু নারীদের উলঙ্গ করে সারা শহর ঘোরানো হয়। এর মধ্যে একজন নারীকে গণধর্ষণও করা হয়েছে। এর প্রতিবাদ করায় ভুক্তভোগী নারীর বাবা ও ভাইকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।

মুখপাত্র বলেন, “যে ভারত প্রকাশ্যে গো-মাংশ খাওয়ার অপরাধে মুসলমানকে পিটিয়ে মেরে ফেলে, সেই ভারতের কাছ থেকে আমাদের শিখতে হবে না সংখ্যালঘুদের অধিকার কীভাবে রক্ষা করতে হয়। ভারতের উচিত তার নিজের সংখ্যালঘুদের নিয়ে ভাবা। এখন তাদের উচিত জুলাই বিপ্লবকে স্বীকৃতি দিয়ে যারা বিরোধিতা করেছিল, সেই সব অপরাধীদের বাংলাদেশের ফেরত পাঠানো।

কর্মসূচির কথা জানিয়ে তিনি বলেন, “আগামী ৬ ডিসেম্বর (শুক্রবার) বিকেল সাড়ে ৩টায় গুলশান ২ সার্কেল থেকে র‌্যালি নিয়ে ভারতীয় অ্যাম্বাসিতে যাত্রা শেষে এ স্মারকলিলিপি দেওয়া হবে। এ দিন কোন ধরনের উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ডের ফলে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটলে তার দায় ইনকিলাব মঞ্চ নেবে না।”