বিভাগের নাম ও ডিগ্রির অসামঞ্জস্যতা নিরসনের দাবিতে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) এগ্রো প্রোডাক্ট প্রসেসিং টেকনোলজি (এপিপিটি) বিভাগের শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে অবস্থানসহ বিভিন্ন কর্মসূচিতে আন্দোলন করছিলেন।
অবশেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড.মো: আব্দুল মজিদ দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিলে তারা অবস্থান কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনিক ভবনের সামনে শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে উপাচার্য চলমান ব্যাচগুলো থেকেই বিভাগ ও ডিগ্রির নাম পরিবর্তন করে ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং করা হবে জানান।
প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন ও ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. আমজাদ হোসেন বলেন, “শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে বিভাগ ও ডিগ্রির ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং করা হবে। একাডেমিক কাউন্সিলের মাধ্যমে সব দাবি পূরণ করা হবে।”
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে উপাচার্য ড. মো: আব্দুল মজিদ বলেন, “তোমাদের সব দাবি বাস্তবায়ন করা হবে। তোমরা তোমাদের ক্লাস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করো।”
এদিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, তাদের চারটি দাবি ছিল। বিভাগ ও ডিগ্রির নাম ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং করা, চলমান সব ব্যাচকে এ ডিগ্রির অন্তর্ভুক্ত করা এবং ডিগ্রিকে ইঞ্জিনিয়ারিং মর্যাদা দেওয়া। উপাচার্য তাদের দাবিগুলো শুনে আশ্বস্ত করে এগুলো মেনে নেওয়া হয়েছে এবং তিনি এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন বলে জানিয়েছেন।
তারা আরও জানান, ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি প্রদানের জন্য ফ্যাকাল্টির অরডিন্যান্সে কিছুটা সংশোধন আনতে হবে। এছাড়া, তাদের সার্টিফিকেট ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের আদলেই তৈরি করা হবে। এতে তাদের চাকরির বাজার এবং অন্যান্য সমস্যাগুলো সমাধান হবে। ফলে তারা তাদের চলমান আন্দোলন প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নেন।
গত ২১ অক্টোবর শিক্ষার্থীরা মাইকেল মধুসূদন দত্ত কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে মানববন্ধনের মাধ্যমে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দেন। এরপর থেকে ক্লাস বর্জনের পাশাপাশি অবস্থানসহ নানা কর্মসূচিতে তাদের আন্দোলন চলমান ছিল।