ক্যাম্পাস

৫ বিপ্লবী হত্যা: বিচার দাবিতে ইনকিলাব মঞ্চের আল্টিমেটাম

সম্প্রতি পাঁচ বিপ্লবীর হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদী।

বৃহস্পতিবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ ঘোষণা দেন। এ সময় জুলাই বিপ্লবে নেতৃত্বদানকারী ছাত্র-জনতাকে জঙ্গিলীগের গুপ্তহত্যা এবং বিপ্লবীদের নিরাপত্তা প্রদানে সরকারের ব্যর্থতার প্রতিবাদ জানান তিনি। 

সংবাদ সম্মেলনে শরিফ ওসমান বিন হাদী বলেন, “আগামী ৪৮ ঘণ্টা অর্থাৎ শুক্রবার ও শনিবারের মধ্যে যে পাঁচজন বিপ্লবীকে হত্যা করা হয়েছে, তাদের হত্যায় জড়িতদের প্রত্যেককে গ্রেপ্তার করতে হবে। শুধু গ্রেপ্তার নয়, অনতিবিলম্বে তাদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে। নিষিদ্ধ করার আগ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের উপজেলা পর্যায়ের শীর্ষ ১০ জনের গ্রেপ্তার নিশ্চিত করতে হবে।”

তিনি বলেন, “দাবি না মানলে আগামী রবিবার (২২ ডিসেম্বর) জাতীয় জাদুঘরের সামনে থেকে ইনকিলাব মঞ্চ ছাত্র-জনতাকে সঙ্গে নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনে অনশন কর্মসূচি পালন করবে। জঙ্গিলীগের গুপ্ত হত্যার বিরুদ্ধে এবং ছাত্র-জনতাকে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় সরকারের বিরুদ্ধে এবং বাংলাদেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো বিরুদ্ধে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, “ওবায়দুল কাদের তিনমাস বাংলাদেশে থাকার পর পালিয়েছে। এর চেয়ে লজ্জাজনক কাজ আর হতে পারে না। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সাংবাদিকদের বলেছেন, তারা কেন সরকারকে বলেনি ওবায়দুল কাদেরের ব্যাপারে। সরকার যদি সাংবাদিকদের কাছ থেকেই তথ্য নিতে চাই, তাহলে ডিজিএফআই কী করে? এসব ঘটনার জন্য বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো আর সরকার দায়ী। বিএনপি-জামায়াত আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করছে। আমরা যখন আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধের কথা বলি, তখন তারা বলে ‘আমরা কিছু বুঝি না’।”

মুখপাত্র বলেন, “বিগত কয়েকদিনের মধ্যে জুলাই বিপ্লবে যারা গুরুত্বপূর্ণ আন্দোলন করেছে ঢাকার ভিতরে-বাইরে বিশেষ করে প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির স্টুডেন্টদেরকে হত্যা করা হচ্ছে। আমরা এমন ৫ জনের খবর পেয়েছি। হাসনাত-সারজিসদের ট্রাকে করে হামলা করা হয়েছে। প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির স্টুডেন্টদেরকে টার্গেট করার কারণ হলো, তাদের হল নেই। তাদের টার্গেট করতে পারলে বড়সড় আন্দোলন ঠেকানো যাবে। ছাত্র-জনতার জীবনের বিনিময়ে এ সরকারকে টিকিয়ে রাখার কোন দায় আমাদের নেই। ছাত্র-জনতার জীবনের নিরাপত্তা দিতে না পারলে নির্বাচন দিয়ে চলে যান।”

জেএমবির মতো আওয়ামীলীগ গুপ্তহত্যা করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগ এখন গুপ্তহত্যা করছে। কারণ তারা জানে আমাদের ছাত্র-জনতার কাছে যেসব ভিডিও ডকুমেন্ট আছে, সেগুলো আন্তর্জাতিক আদালতে দাখিল করলে তারা শুধু নিষিদ্ধই নয়, ১০০ বছরেও ফিরে আসতে পারবে না। এখন যে হত্যাকাণ্ডগুলো চলছে, সেটা আওয়ামী লীগের মাস্টারপ্ল্যানের অংশ।”