সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিকৃবি) রক্তদাতাদের সংগঠন বাঁধনের কমিটিতে বিতর্কিত সদস্যদের রাখার অভিযোগ উঠেছে। অরাজনৈতিক সংগঠন হলেও কমিটিতে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের এক নেতাকে পদ দেওয়া হয়েছে। এতে নতুন কমিটি ঘোষণার পরই সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) বাঁধনের সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিটের ১৭ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়। এক বছরের জন্য গঠিত এ কমিটির ঘোষণাপত্রে সাতজন স্বাক্ষর করেছেন। নতুন এ কমিটিতে প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদকের দায়িত্ব পেয়েছেন এসএম আলী আশরাফ যিনি সিকৃবি শাখা ছাত্রলীগের উপ-গ্রন্থনা ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।
এছাড়াও কমিটির সভাপতি জিহাদ হোসেন ও সহ-সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম সাজিন ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে পদ প্রত্যাশী ছিলেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক শিক্ষার্থী বলেন, “বাঁধনকে অরাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে জানলেও গত বছর থেকে সিকৃবিতে রাজনৈতিক ব্যক্তিদের হস্তক্ষেপে কমিটি হতে দেখছি। সিকৃবিতে সংগঠনটি বিতর্কিত হচ্ছে। জানি না, বাঁধনের কেন্দ্রীয় নেতারা এ ব্যাপারে জানে কিনা। শুধু বাঁধন না, সিকৃবিতে অরাজনৈতিক সংগঠন প্রাধিকারের কমিটিতেও রাজনৈতিক নেতাদের স্থান হয়েছে।”
তিনি বলেন, “প্রাধিকারের সাধারণ সম্পাদক ছাত্রলীগের পদধারী হয়ে সক্রিয় রাজনীতি করেছেন। এ ছাড়া একাধিক সদস্যের ছাত্রলীগের কমিটিতে পদ ছিল এবং অনেকে সিভি জমা দিয়েছেন। এখন যদি ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের পদ দেওয়া হয় তাহলে কিছু বলার নেই। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এ ব্যাপারগুলো আরো জোরালোভাবে দেখা উচিত।”
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অতিরিক্ত পরিচালক (ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা) ড. সামিউল আহসান তালুকদার বলেন, “বাঁধন সদস্যরা তাদের নিয়মতান্ত্রিক পন্থায় কমিটি করেছে। পদ্ধতি অনুযায়ী আমাদের দাওয়াত দিয়েছে। কমিটি ঘোষণার পর জানতে পেরেছি ছাত্রলীগের পদধারী কেউ একজন রয়েছে।”
তিনি বলেন, “এ ব্যাপারে কমিটির সভাপতি-সম্পাদককে ডাকা হয়েছে। তারা আজ মঙ্গলবার দেখা করে করণীয় ঠিক করবে।”