রাজধানীর মাল্টিপ্লান সেন্টারে নষ্ট মোবাইল সারানোর ব্যবসা করতেন আজিজুর রহমান। সাধারণ ছুটি থাকায় দীর্ঘ দুই মাস ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখেছিলেন। আয় না থাকায় দোকানের ভাড়াও পরিশোধ করতে পারেননি। যা সঞ্চয় ছিল তাও শেষ। এখন সাধারণ ছুটি শেষ হবার অপেক্ষায় তিনি।
শুক্রবার (২৯ মে) রাইজিংবিডিকে আজিজুর বলেন, দুই মাস কাজ না করায় আর্থিক সংকটে আছি। সীমিত পরিসরে সব খুলে দেওয়া হলে ব্যবসা আবার চালু করতে পারব। ব্যবসা কম হলেও প্রাথমিক সংকট কাটিয়ে উঠতে পারব।
শুধু আজিজুর রহমান নন, অনেক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সবকিছু সীমিত পরিসরে খুলে দেওয়ার ব্যাপারে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তারা বলছেন, সবকিছু বন্ধের কারণে ব্যবসায়ীসহ দেশের অর্থনীতি ক্ষতি হচ্ছে। ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে অনেক সময় লাগবে। ফলে ছুটি আরো দীর্ঘায়িত না করে সব খুলে দেওয়া হোক।
ধানমন্ডির কেয়ারী প্লাজায় সাইবার ক্যাফে ও কম্পিউটার প্রশিক্ষণ সেন্টারের মালিক সুভাশ বিশ্বাস। তিনি বলেন, সব বন্ধ থাকায় পরিবার নিয়ে সংকটে আছি। সন্তানের স্কুল ফি, দোকান ভাড়া, বাসা ভাড়া, মাসিক খাবার খরচসহ ব্যয় রয়েছে। এগুলো সংকুলান করতে পারছি না। তাই প্রতিষ্ঠান খোলা দরকার।
মোহাম্মদপুরে স্মাইল হোম সল্যুশন নামে একটি প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার গাজিউর রহমান পারভেজ বলেন, করোনার কারণে সব ইনভেস্টমেন্ট স্টোরে পড়ে আছে। কোনো বিক্রি নেই। এখন আবার সব চালু হলে চালানটা আপাতত বের করতে পারব।
তবে, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের অনেকে ঝুঁকি নিতে চাচ্ছেন না। তারা করোনা সংক্রমণ ঝুঁকি কমে গেলে ব্যবসা আবারও শুরু করতে চান। কেয়ারি প্লাজার একটি ফটোকপি ও স্টেশনারি দোকান মালিক মাইনুল ইসলাম বলেন, এখন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ক্লাস হচ্ছে না। স্কুল বন্ধ। ব্যবসা নেই। তারপরও অনেককে বের হয়। এ কারণে সংক্রমণের ঝুঁকি আছে। আপাতত ব্যবসা চালাব না বলে ভাবছি। নূর/সাইফ