অর্থনীতি

নারীবান্ধব প্রণোদনা প‌্যাকেজের সুপারিশ

করোনা মহামারিকালে সরকারি প্রণোদনা প্যাকেজগুলো নারীদের ক্ষেত্রে তেমনভাবে কার্যকর হয়নি। বেশিরভাগ নারী এসব প্যাকেজ সম্পর্কে অবগত নন। যারা অবগত, তাদের মধ্যে ঋণের জন্য আবেদনের অনিচ্ছা লক্ষ করা গেছে। অর্থনৈতিক মন্দা এবং ভবিষ্যতের অনিশ্চয়তার কারণে নারীরা এ ঋণের ব্যপারে আগ্রহী ছিলেন না। নগদ সহয়তাই বেশি প্রয়োজন বলে মনে করেন অনেক নারী উদ্যোক্তা।

এ পরিস্থিতিতে নারীবান্ধব নতুন প্রণোদনা প্যাকেজ এবং বর্তমান প্যাকেজগুলোতে নারীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রাখার সুপারিশ উঠে এসেছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) আয়োজিত এক সংলাপে। ‘সরকারের আর্থ-সামাজিক পুনরুদ্ধার ব্যবস্থা: নারীরা কতটা উপকৃত হয়েছে’ শীর্ষক ভার্চুয়াল সংলাপটি সিপিডির আয়োজনে ও ইউএন ওমেনের সহযোগিতায় আয়োজিত হয়।

সংলাপে উপস্থাপিত মূল প্রতিবেদনে সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, ‘নারী উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণ দিতে হবে যেন তারা চতুর্থ শিল্পবিপ্লব থেকে উপকৃত হতে পারে।’ কোভিড-১৯ এর কারণে বাল্যবিবাহ এবং নারীর প্রতি সহিংসতা বেড়েছে বলে জানান ড. ফাহমিদা খাতুন।

এ বিষয়ে সংলাপ চলমান রাখার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান অতিথি পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। 

করোনা মহামারিতে নারীদের বৈশ্বিক চিত্র তুলে ধরেন সংলাপের সম্মানিত অতিথি ও ইউএন উইমেনের বাংলাদেশ প্রতিনিধি শোকো ইশিকাওয়া।  তিনি বলেন, ‘এসব প্যাকেজ নারীদের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে ও স্বচ্ছভাবে বিতরণ নিশ্চিত করতে হবে।’

সিপিডির সম্মাননীয় ফেলো অধ্যাপক রওনক জাহানের সভাপতিত্বে সংলাপে আরও বক্তব্য রাখেন—মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক ড. লীলা রশিদ, পারসোনার ব্যবস্থাপনা পরিচালক কানিজ আলমাস, ব্র্যাক ব্যাংকের নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম আর এফ হোসেন, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সহ-সভাপতি ড. ফৌজিয়া মোসলেম এবং দেশ গ্রুপ অব কোম্পানিজের পরিচালক বিদ্যা অমৃত খান।

সরকারি কর্মকর্তা, সাংবাদিক, গবেষক, শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন পেশাজীবীসহ অনেকে সংলাপে অংশ নেন এবং তাদের মতামত তুলে ধরেন।