কাঁচাবাজারসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ায় সাধারণ মানুষের ভোগান্তির শেষ নেই। ক্রেতারা বলছেন, দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়ায় সংসার চালাতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
শুক্রবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।
রাজধানীর মিরপুর-১ নম্বরে বাজার করতে আসা মোহাম্মদ আলামিন হোসেন বলেন, ‘স্বল্প আয়ের মানুষের হাসি-কান্না অনেকটাই নির্ভর করে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামের ওপর। দাম কম থাকলে পেটভরে দুমুঠো খাওয়া যায়। দাম লাগামছাড়া হলে অনেক সময় না খেয়ে কাটাতে হয়।’
তিনি বলেন, মাসের শুরুর দিকে হাতে টাকা থাকলেও শেষের দিকে ধার করে চলতে হয়। যে হারে পণ্যের দাম বাড়ছে, তাতে পরিবার নিয়ে চলা কষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
ক্রেতা রাসেল হোসেন বলেন, পেঁয়াজের দাম বেড়ে দ্বিগুণ হয়ে গেছে। বেড়েছে মুরগির দামও। গত দুইদিন আগে যে দামে পেঁয়াজ কিনেছি আজ তার থেকে ২৫ টাকা বেশি দিয়ে কিনতে হচ্ছে। ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে বেড়েছে ২০ টাকা।
তিনি বলেন, গত সপ্তাহে দেশি পেঁয়াজের কেজি কিনেছিলাম ৩৫ টাকা। আর আজ ৬০ টাকায় কিনতে হয়েছে।
মতি হোসেন নামের এক ক্রেতা রাইজিংবিডিকে বলেন, পেঁয়াজ, কাঁচামরিচ, চালসহ সব ধরনের পণ্যের দাম বাড়ছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের সঙ্গে সাধারণ মানুষের শ্রমের দাম তো বাড়েনি।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এক দিনের ব্যবধানে খুচরা বাজারে ডিম ডজনে বেড়েছে পাঁচ টাকা। দুই দিনে কেজিতে ২০ টাকা বেড়েছে ব্রয়লার মুরগি। পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ২০ থেকে ২৫ টাকা। মাছ, মাংস, চাল, ডাল, তেল, সবজিসহ সবকিছুরই দাম বাড়তি।
পেঁয়াজের দাম বাড়ার বিষয়ে খুচরা ব্যবসায়ীরা বলেন, তিন দিন আগে কেজি ৩৫ টাকা করে কিনে বিক্রি করছেন ৪০ টাকায়। বুধবার থেকে কিনতে হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকায়। বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা। বেশি দামে পণ্য কিনতে হচ্ছে তাই বিক্রিও হচ্ছে বেশি দামে।
এক সপ্তাহ ব্যবধানে সব ধরনের সবজির দাম কেজিতে বেড়েছে পাঁচ থেকে ১৫ টাকা। প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকায়, করলা ১০০, টমেটো ৫০, শিম ৫০ থেকে ৬০, বাঁধাকপি ৪০, মাঝারি আকারের লাউ ৮০ ও বড় আকারের ১০০, ফুলকপি ছোট ৪০ থেকে ৫০, চালকুমড়া প্রতিটি ৬০, লেবুর হালি ৪০। এছাড়া প্রতি কেজি বেগুন ৭০ থেকে ৮০, ক্ষীরা ৬০, মটরশুঁটি ৮০, কাঁচামরিচ ১০০, গাজর ৪০ ও পেঁপে বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। গত এক সপ্তাহ ধরে মাছের দামও বাড়তি। প্রতি কেজি মাছের দাম ২০ থেকে ৩০ টাকা বেড়েছে।
প্রতি কেজি ১৪০ টাকার ব্রয়লার মাংস বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায়। সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৬০ টাকায়। লাল ডিমের ডজন পাঁচ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১১৫ টাকায়।