দেশের বাজারে শীর্ষস্থানে থাকা বসুন্ধরা এলপি গ্যাসের আয়োজনে বিশ্বের ৩০টি দেশের এলপিজি অপারেটরদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো ‘এলপিজি নাইট’।
মঙ্গলবার (৩০ মে) রাতে আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি বসুন্ধরার (আইসিসিবি) হল-৩-এ জাঁকজমকপূর্ণ ‘এলপিজি নাইট’-এ বাংলাদেশ, ভারতসহ বিশ্বের ৩০টি দেশের এলপিজি অপারেটরদের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেওয়া হয় বসুন্ধরা এলপি গ্যাসের পক্ষ থেকে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্ল্ড এলপিজি অ্যাসোসিয়েশনের সিইও এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) জেমস রোক্যাল, এলপিজি অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (লোয়াব) সভাপতি আজম জে চৌধুরী, জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. ইজাজ হোসেন, বসুন্ধরা এলপি গ্যাসের সিওও (ব্র্যান্ড অ্যান্ড মার্কেটিং, সেক্টর-এ) এম এম জসিম উদ্দিনসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
জেমস রোক্যাল বলেন, বাংলাদেশের কোম্পানিগুলো যেভাবে এলপিজিতে বিনিয়োগ করছে, তা আগামী দিনের জন্য অত্যন্ত সম্ভাবনাময় খাত হিসেবে বিবেচিত হবে। এই খাতকে কীভাবে সামনের দিকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়, সেই লক্ষ্যে কাজ করব। আমারা চাই এলপিজি খাত আরও নিরাপদ হোক এবং নতুন কিছু উদ্ভাবিত হোক। তাহলেই আমরা এই এলপিজি খাতকে শীর্ষস্থানে নিয়ে যেতে পারবো। পাশাপাশি বসুন্ধরা গ্রুপকে অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি এমন সুন্দর একটি আয়োজন করার জন্য।
জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. ইজাজ হোসেন বলেন, বাংলাদেশে স্বল্প সময়ে যেভাবে এলপিজি খাত এগিয়েছে, তা অবশ্যই প্রশংসনীয়। যেখানে প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে, সেখানে এলপিজি খুবই সস্তা মূল্যে পাওয়া যায়। এলপিজি যেহেতু যানবাহনে ব্যবহার করা যায়, তাই এটা গুরুত্বপূর্ণ। আমি চাই বাংলাদেশের এলপিজি ইন্ডাস্ট্রি আরও এগিয়ে যাক।
বসুন্ধরা এলপি গ্যাসের সিওও (ব্র্যান্ড অ্যান্ড মার্কেটিং, সেক্টর-এ) এম এম জসিম উদ্দিন বলেন, বসুন্ধরা এলপিজি নাইটের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে দেশের এলপিজি খাতকে বহির্বিশ্বে তুলে ধরা। আমরা মনে করি, এতে দেশের এলপিজি সেক্টর অনেক বেশি জনপ্রিয় হবে। একই সঙ্গে বহির্বিশ্ব জানবে বাংলাদেশের এলপিজি সেক্টর সম্পর্কে; এর ফলে বাংলাদেশে আরও অনেক বিনিয়োগ আসবে।
এলপিজি অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি আজম জে চৌধুরী বলেন, এলপিজি গ্যাস যে শুধু গৃহস্থালিতে ব্যবহার হয় এমটা নয়। এটা এখন বাণিজ্যিক পর্যায়েও ব্যবহার হচ্ছে। দেশে এলপিজি সেক্টর দিন দিন অনেক বড় হচ্ছে। তাই আমাদের এই সেক্টরের অবকাঠামোকে আরও শক্তিশালী করতে হবে।
বসুন্ধরা এলপি গ্যাস দেশের মার্কেটে শীর্ষস্থানে আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বসুন্ধরা এলপি গ্যাস হচ্ছে দেশের পাইওনিয়র। এলপিজি নাইটের আয়োজন করার জন্য বসুন্ধরা গ্রুপকে অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
বাংলাদেশে এলপিজির প্রসার আরও বাড়াতে ওয়ার্ল্ড এলপিজি অ্যাসোসিয়েশন আয়োজন করেছে দুই দিনব্যাপী ‘এশিয়ান রিজিওনাল এলপিজি সামিট’। আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) মঙ্গলবার (৩০ মে) সকাল ১০টা থেকে শুরু হওয়া সামিট চলবে বুধবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। এই সামিটের প্লাটিনাম স্পন্সর হিসেবে রয়েছে বসুন্ধরা এলপি গ্যাস।
সামিটের মাধ্যমে দেশি-বিদেশি এলপিজি সরবরাহকারী কোম্পানিগুলো তাদের আধুনিক প্রযুক্তির সিলিন্ডারসহ এলপিজি খাতের সঙ্গে সম্পৃক্ত পণ্য সিলিন্ডার বাল্ব, রেগুলেটর ও অটোগ্যাস স্টেশন মেশিনারি এবং শিল্প-কারখানায় এলপিজির প্লান্ট স্থাপনের যন্ত্রাংশ স্টলগুলোতে প্রদর্শন করেছে। প্রথম দিনেই দেশি-বিদেশি দর্শনার্থীদের ভিড় ছিল।
দেশের এলপি গ্যাসের বাজারে শীর্ষস্থানে থাকা বসুন্ধরা এলপি গ্যাস এখন আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছে। গত দুই দশকে ধারাবাহিকভাবে বেস্ট ব্র্যান্ড এবং সুপার ব্র্যান্ড স্বীকৃতিও পেয়েছে এ প্রতিষ্ঠান। ১৯৯৯ সালে এলপি গ্যাসের ব্যবসা শুরু করে বৃহৎ শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপ। প্রায় দুই যুগ সময় ধরে দেশের বাজারে শীর্ষস্থান দখল করে আছে বসুন্ধরা এলপি গ্যাস। দেশের মানুষের পছন্দের ব্র্যান্ড হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে বসুন্ধরা এলপি গ্যাস।