২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেট ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার। এ প্রস্তাবিত বাজেটে সার্বিক ঘাটতি ২ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। ঘাটতি মেটাতে সরকার ব্যাংক থেকে ১ লাখ ৩২ হাজার ৩৯৫ কোটি টাকার ঋণ নেবে বলে লক্ষ্য ঠিক করেছে। এছাড়া, অভ্যন্তরীণ উৎস, বিদেশি উৎস থেকে ঋণ নেওয়ার পরিকল্পনা করেছে সরকার। এ নিয়ে অর্থনীতিবিদরা সমালোচনা করলেও বাজেট ঘাটতি মেটাতে ব্যাংক ঋণ নিলে বেসরকারি খাতের কোনো সমস্যা হবে না বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার।
শুক্রবার (২ জুন) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে গভর্নর বলেছেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডলার সঙ্কট মোকাবিলায় প্রায় ২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বাজারে বিক্রি করেছে। তার মানে ২ লাখ কোটি টাকা বাজার থেকে সেন্ট্রাল ব্যাংকে ঢুকে গেছে। এই টাকা যদি বাজারে থাকত তাহলে সরকারের ১ লাখ কোটি টাকা ঋণ নেওয়া কোনো বিষয় হতো না। এখন যেহেতু বাজারে তারল্য সঙ্কট আছে, সেজন্য সরকার বন্ডের মাধ্যমে নিচ্ছে।
তিনি বলেন, নতুন টাকা ছাপিয়ে বাজারে ছাড়লে যে মূল্যস্ফীতি বাড়বে, তার কোনো সম্ভাবনা নেই। কারণ, ২ লাখ কোটি টাকা তুলে এনে ৭০ হাজার কোটি টাকা ছাড়লে টাকার সরবরাহ (ক্যাসেল আউট) কম থাকছে।
গভর্নর বলেন, আমাদের মানি সাপ্লাই যদি দেখেন, ওয়ান অব দ্য লোয়েস্ট এই রিজিওনের মধ্যে। জিডিপির মাত্র ৪০ শতাংশ মানি সাপ্লাই। যেটা ইন্ডিয়াতে ডাবল, ৭৬-৭৭ শতাংশ। থাইল্যান্ড, কম্বোডিয়াতে প্রায় ১০০ শতাংশ। তাই, সরকার ঋণ নিচ্ছে বলে মূল্যস্ফীতি বাড়ছে, এটা ঠিক না। মূল্যস্ফীতি বাড়ছে বিশ্ববাজারে তেলের দাম, গ্যাসের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে।
সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, এলজিআরডি মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমসহ সিনিয়র সচিবগণ উপস্থিত ছিলেন।