বাংলাদেশকে ট্রিলিয়ন (এক লাখ কোটি) ডলারের অর্থনীতিতে উন্নীত করতে ব্যবসায়ীরা নেতৃত্ব দেবেন এবং এজন্য ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) কাজ করছে বলে মন্তব্য করেছেন সংগঠনটির আগামী নির্বাচনে পরিচালক পদপ্রার্থী ও ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) গোলাম মুর্শেদ।
সোমবার (১৭ জুলাই) রাতে বন্দর নগরী চট্টগ্রামের হোটেল রেডিসন ব্লু বে ভিউতে এফবিসিসিআইয়ের (২০২৩-২৫) নির্বাচনকে সামনে রেখে এক আলোচনা সভায় যোগ দেওয়ার আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
‘ট্রিলিয়ন ডলার অর্থনীতির যাত্রায় বন্দর নগরীর তাৎপর্য’ এ আলোচনা সভার আয়োজন করে ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদ প্যানেল।
গোলাম মুর্শেদ বলেন, আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে বাংলাদেশকে ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিতে নিয়ে যাওয়া। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ব্যবসায়ীরা যাতে নেতৃত্ব দিতে পারেন, সেজন্য আমাদের প্যানেল কাজ করবে। এজন্য বিজ্ঞ, প্রবীণ ও নতুনদের নিয়ে আমাদের প্যানেল সাজানো হয়েছে। এ প্যানেল নির্বাচিত হলে আমরা এফবিসিসিআইয়ে নতুন ধারা দেখতে পাবো।
ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতি বাস্তবায়নের জন্য কীভাবে কাজ করবেন সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের প্যানেলে ২৩ জন রয়েছেন। তাদের সবাই বিভিন্ন সেক্টরে কাজ করেন। আমি ওয়ালটনের এমডি হিসেবে একটি সেক্টরে কাজ করি। অন্যরা অন্যদের সেক্টর নিয়ে কাজ করবেন। আমরা যদি ভালোভাবে কাজ করি ট্রিলিয়ন ডলার অর্থনীতি বাস্তবায়ন খুব কঠিন হবে না।
‘ট্রিলিয়ন ডলার অর্থনীতির যাত্রায় বন্দর নগরীর তাৎপর্য’ এ আলোচনা সভায় উপস্থিত ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের এমডি ও সিইও সিইও গোলাম মুর্শেদ (ডানে)
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে গোলাম মুর্শেদ বলেন, আমি আগেও বলেছি, আমাদের প্যানেলে প্রত্যেকটা ব্যবসায়ী খাতের প্রতিনিধিরা রয়েছেন। এদের মধ্যে চাল, ডাল ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য সেক্টরেরও ব্যবসায়ীরা রয়েছেন। আমরা সবাই মিলে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের জন্য কাজ করব, মানুষের যাতে ভোগান্তি না হয়। এফবিসিসিআইয়ের কাজটা হচ্ছে, দেশের অর্থনীতি স্থিতিশীল রাখা এবং অর্থনীতির চাকা সচল রাখা।
তিনি বলেন, প্যানেলে আমরা নতুন যারা আছি তারা সবাই প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। সবাই দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্য কাজ করার আগ্রহ নিয়ে এখানে এসেছি। বাংলাদেশে সাড়ে চার কোটি ব্যবসায়ী আছেন। সবার জন্য আমরা কাজ করব। ব্যবসা ও জনগণ একে অপরের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। কাউকে ছেড়ে কাউকে চিন্তা করা যাবে না। ব্যবসা যখন ভালো থাকবে জনগণ ভালো হবে। জনগণ বাঁচলে ব্যবসা বাঁচবে।