অর্থনীতি

পণ্য সরবরাহ প্রক্রিয়া দ্রুত বাস্তবায়নে ভারতের প্রতি আহ্বান 

বাংলাদেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহের লক্ষ্যে প্রস্তাবিত প্রক্রিয়া দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য ভারত সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

শুক্রবার (২৫ আগস্ট) ভারতের জয়পুরে জি-২০ জোটভুক্ত দেশগুলোর বাণিজ্য ও বিনিয়োগমন্ত্রীর সভায় যোগ দেওয়ার আগে ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলের সঙ্গে বৈঠককালে এ আহ্বান জানান টিপু মুনশি।

ভারত থেকে বাংলাদেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহের একটি প্রক্রিয়া প্রণয়নে অগ্রগতির জন্য ভারতীয় বাণিজ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান টিপু মুনশি। প্রস্তাবিত প্রক্রিয়া দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য ভারতের ক্রমাগত সমর্থন কামনা করেন তিনি। 

শুক্রবার (২৫ আগস্ট) রাতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক তথ্য বিবরণী থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

সম্প্রতি ভারতে পেঁয়াজের ওপর ৪০ শতাংশ রপ্তানি শুল্ক আরোপের ফলে বাংলাদেশে এর বিরূপ প্রভাব পড়েছে বলে ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন টিপু মুনশি। 

পীযূষ গোয়েল জানান, বিশ্বব্যাপী উৎপাদনে ব্যাঘাত, সরবরাহের ঘাটতি এবং নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির কারণে সৃষ্ট অসুবিধাগুলো কাটিয়ে উঠতে ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।  প্রতিকূল আবহাওয়া এবং খাদ্য মূল্যস্ফীতির কারণে ভারতও কৃষিপণ্যের উৎপাদন ঘাটতিতে ভুগছে। এ কারণে ভারত সরকারকে কিছু সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। তিনি বাংলাদেশকে আশ্বস্ত করে বলেন, খুব শিগগির ভারত এ সঙ্কট কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হবে।

বৈঠকে বাণিজ্যমন্ত্রী বাংলাদেশের পাটজাত পণ্যের ওপর থেকে অ্যান্টিডাম্পিং শুল্ক প্রত্যাহারের জন্য ভারত সরকারের প্রতি অনুরোধ জানালে পীযূষ গোয়েল বিষয়টি বিবেচনার আশ্বাস দেন। 

অন্যান্য দ্বিপাক্ষিক ইস্যু নিয়ে আলোচনার জন্য আগামী দুই মাসের মধ্যে যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকে উপস্থাপন এবং এগুলো নিষ্পত্তির ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন বাণিজ্যমন্ত্রী।

ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী জি-২০ মন্ত্রী পর্যায়ের ঘোষণা চূড়ান্ত করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের মূল্যবান অবদানের প্রশংসা করে বলেন, ভারত সব সময় বাংলাদেশের সঙ্গে বিশেষ বন্ধুত্ব ও অংশীদারত্বকে মূল্যায়ন করে থাকে।

জি-২০ এর প্রেসিডেন্ট হওয়ায় ভারতকে অভিনন্দন জানান বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রী। অর্থনৈতিক সহযোগিতা ফোরামে অংশগ্রহণের জন্য বাংলাদেশকে অতিথি দেশ হিসেবে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।

পরে টিপু মুনশি সৌদি আরবের বাণিজ্যমন্ত্রী মাজিদ আল কাসাবির সঙ্গে বৈঠক করেন। এ সময় দিল্লিতে অনুষ্ঠিতব্য জি-২০ সম্মেলনের ফাঁকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স ও প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে বৈঠক ফলপ্রসূ হবে বলে উভয় মন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন।

২৪-২৫ আগস্ট জয়পুরে অনুষ্ঠিত জি-২০ জোটভুক্ত দেশগুলোর বাণিজ্য ও বিনিয়োগমন্ত্রীদের সভায় যোগ দেন বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

সভায় দেওয়া বক্তব্যে তিনি বাংলাদেশসহ গ্র্যাজুয়েশন ট্র্যাকে থাকা দেশগুলোকে ২০২৬ সালের পরও শুল্কমুক্ত বাজারসুবিধা অব্যাহত রাখার ক্ষেত্রে সমর্থন দেওয়ার জন্য জি-২০ সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানান। আগামী ১৩তম ওয়াল্ড ট্রেড অরগানাইজেশন (ডব্লিউটিও) মিনিস্ট্রিয়াল কনফারেন্স (এমসি ১৩)-এ  এলডিসি থেকে উত্তরণ হওয়া দেশগুলোর পক্ষে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য তিনি জি-২০ দেশের মন্ত্রীদের প্রতি অনুরোধ জানান।