অর্থনীতি

১ কোটি ২০ লাখ লিটার ভোজ্যতেল কিনবে সরকার

স্থানীয়ভাবে পৃথক দুইটি দরপত্রের মাধ্যমে এক কোটি ২০ লাখ লিটার ভোজ্যতেল সংগ্রহের উদ্যোগ নিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে ৮০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল এবং বাকি ৪০ লাখ লিটার রাইস ব্রাণ তেল রয়েছে। এতে মোট ব্যয় হবে ১৮৫ কোটি ৬০ লাখ ৪০ হাজার টাকা।

সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে স্বল্প আয়ের মানুষদের কাছে বিক্রির জন্য টেড্রিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) এর মাধ্যমে সাশ্রয়ী দামে বিভিন্ন পণ্য বিক্রি চলমান রয়েছে। এরই অংশ হিসেবে এই ভোজ্যতেল স্থানীয় দরপত্রের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হবে।

সূত্র জানায়, এই কর্মসূচির আওতায় ২৬,৪০,০০,০০০ লিটার সয়াবিন তেল ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৪,৮০,০০,০০০ লিটার সয়াবিন তেল ক্রয়ের চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। মোট চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে সমগ্র বাংলাদেশে (সিটি করপোরেশন ও পৌরসভাসহ) টিসিবির ফ্যামিলি কার্ডধারী নিম্ন আয়ের প্রায় এক কোটি পরিবারের মাঝে প্রতি মাসে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির পণ্য বিক্রির লক্ষ্যে টিসিবি স্থানীয়ভাবে ৮০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল সংগ্রহ করবে।

এই সয়াবিন তেল সংগ্রহ করার জন্য পত্রিকায় স্থানীয় দরপত্র আহ্বান করা হলে দুইটি দরপ্রস্তাব জমা পড়ে। এই দুটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে সিটি এডিবল অয়েল লিমিটেড ও সুপার রিফাইনারি লিমিটেড। এর মধ্যে সিটি এডিবল অয়েল লিমিটেড প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম ১৫৬.৩৮ টাকা এবং সুপার রিফাইনারি প্রতি লিটারের মূল্য ১৫৮.৫০ টাকা উল্লেখ করে। ফলে সিটি এডিবল অয়েল লিমিটেড সর্বনিম্ন দরদাতা হয়।

সূত্র জানায়, পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা ২০০৮ এর বিধি-১৬(৫ক) অনুযায়ী প্রতি লিটার পেট বোতলের দাপ্তরিক প্রাক্কলিত মূল্য ১৬৬.২২ টাকা। দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির সভায় দুটি প্রতিষ্ঠানই রেসপন্সিভ বিবেচিত হয়। তবে সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে সিটি এডিবল অয়েল লিমিটেড এর প্রস্তাবিত ৮০ লাখ লিটার সয়াবিন তেলের প্রতি লিটার অগ্রিম আয়কর, মুসক ও টিসিবির গুদামসমূহে পরিবহন খরচসহ দর ১৫৬.৩৮ টাকা মূল্যে ক্রয়ের সুপারিশ করেছে। যা দাপ্তরিক প্রাক্কলিত দরের চেয়ে ৯.৮৪ টাকা কম। সর্বশেষ গত ১৪ সেপ্টেম্বর উন্মুক্ত পুনঃ দরপত্রের বিপরীতে প্রতি লিটার সয়াবিন তেল ১৫৪.৭০ টাকা দরে ক্রয় করা হয়।

সূত্র জানায়, প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের মূল্য ১৫৬.৩৮ টাকায় ক্রয় করা হলে ৮০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল ক্রয়ে মোট ব্যয় হবে ১২৫ কোটি ১০ লাখ ৪০ হাজার টাকা।

অন্যদিকে স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে ৪০ লাখ লিটার রাইস ব্রাণ তেল সংগ্রহের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হলে ১টি দরপত্র পাওয়া যায়। দরদাতা প্রতিষ্ঠান মজুমদার ব্রাণ অয়েল মিলস লিমিটেড প্রতি লিটার ব্রাণ অয়েলের দাম ১৫৬.২৫ টাকায় সরবরাহ করার কথা উল্লেখ করে। যশোর ভিত্তিক প্রতিষ্ঠানটি ২ লিটারের পেট বোতলে টিসিবির গুদাম পর্যন্ত সরবরাহ করবে। প্রতি লিটার ব্রাণ অয়েল ১৫৬.২৫ টাকা হিসেবে ৪০ লাখ লিটার ব্রাণ অয়েল ক্রয়ে ব্যয় হবে ৬২ কোটি ৫০ লাখ টাকা। অর্থাৎ এক কোটি ২০ লাখ লিটার ভোজ্যতেল সংগ্রহে সরকারের মোট ব্যয় হবে ১৮৫ কোটি ৬০ লাখ ৪০ হাজার টাকা।

সূত্র জানায়, এ সংক্রান্ত পৃথক দুইটি ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য পরবর্তী সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় উপস্থাপন করা হবে। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এই সভায় সভাপতিত্ব করবেন।