অর্থনীতি

‘বাজেটে অর্থনৈতিক ভারসাম্যের দিকে নজর দেওয়া হবে’

অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান বলেন, আগামী বাজেটে সামগ্রিক অর্থনৈতিক ভারসাম্যের দিকে সর্বাধিক নজর দেওয়া হবে। রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ডিজিটালাইজেশনে মনোযোগ বাড়াবে সরকার।

রোববার (৭ এপ্রিল) ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) আয়োজিত প্রাক বাজেট আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী। 

ইআরএফ কার্যালয়ে আয়োজিত ‘ম্যাক্রো অর্থনীতির স্থিতিশীলতা ও পরবর্তী বাজেট’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিক আয়শা খান। 

ইআরএফ সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেমের পরিচালনায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি মোহাম্মাদ রেফায়েত উল্লাহ মীরধা।

অর্থ প্রতিমন্ত্রী বলেন, জ্বালানি তেলের দাম প্রতিমাসে বিশ্ববাজারের সঙ্গে সমন্বয় করা হবে। ফাস্ট ট্র্যাক প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় অর্থের জোগানে বাড়তি নজর দেওয়া হবে।

সেমিনারে অর্থনীতিবিদরা বলেন, গত ২০২২-২৩ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটের ভুল সিদ্ধান্তের ফল এখনো ভোগ করছে জনগণ। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আসেনি, টানা ১৮ মাস উচ্চ মূল্যস্ফীতি বইতে হচ্ছে। এ অবস্থায় আসন্ন ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট বাস্তবতার নিরিখে প্রণয়ন করা প্রয়োজন।  

বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি)-এর ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, একটা সময়ে সামষ্টিক অর্থনীতিতে উচ্চ প্রবৃদ্ধি এবং বিভিন্ন পর্যায়ের মূল্যস্ফীতি ছিল। গত দুই বছরের মধ্যে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নষ্ট হয়েছে। অর্থনীতির প্রবৃদ্ধিও স্থবির হয়ে পড়েছে। মূল্যস্ফীতির লাগামও কোনভাবে টানা যাচ্ছে না। সুদহারের ক্যাপ আগেই তুলে নেওয়া উচিৎ ছিল। কোভিডকালীন ব্যবসায়ীদের ছাড় দেওয়া হল, সেটা কেন পরবর্তীতেও বহাল রাখা হবে?

বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি আনোয়ারুল আলম চৌধুরী বলেন, চড়া মূল্যস্ফীতি, উৎপাদনশীলতা হ্রাসের এ সময়ে যথাযথ সংস্কার ছাড়া অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াবে না। এমন আশাও করা যাবে না। বাজেটের আগে ব্যবসায়ীদের নানান সমস্যার কথা শোনা হয়, কিন্তু সমাধানে কোনও কার্যকরী উদ্যোগ নেয় না জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।