সামাজিক নিরাপত্তা ও দারিদ্র্য নিরসন খাতে ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের বাজেটে বরাদ্দ ও সুবিধাভোগী বাড়ছে। সুবিধাভোগী বাড়ানো হচ্ছে ৩ লাখ ৩৪ হাজার এবং বরাদ্দ বাড়ানো হচ্ছে ১০ হাজার ২৭২ কোটি টাকা। বরাদ্দ ও সুবিধাভোগী বৃদ্ধির এ প্রস্তাব দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উপত্থাপন কালে এ প্রস্তাব দেন তিনি।
অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রতিবন্ধীদের সুরক্ষায় আগামী অর্থবছরে ভাতাভোগীর সংখ্যা ২৯ লাখ থেকে বাড়িয়ে ৩২ লাখ ৩৪ হাজার জনে উন্নীত করা হবে। প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে উপবৃত্তি ৯৫০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১০৫০ টাকায় উন্নীত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, মা ও শিশু সহায়তা কার্যক্রমের আওতা আরও বিস্তৃত করার লক্ষ্যে আগামী অর্থবছরে উপকারভোগীর সংখ্যা ১৫ লাখ ৪ হাজার ৮০০ জন থেকে বাড়িয়ে ১৬ লাখ ৫৫ হাজার ২৮০ জনে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেন, আগামী অর্থবছরে বয়স্ক ভাতাভোগীর সংখ্যা ২ লাখ বাড়িযে ৬০ লাখ ১ হাজার জনে উন্নীত করা হবে এবং এ বাবদ ৪ হাজার ৩৫১ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এছাড়া, ভাতাভোগী বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা নারীর সংখ্যা ২৫ লাখ ৭৫ হাজার জন থেকে বাড়িয়ে ২৭ লাখ ৭৫ হাজার জনে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে তাদের আর্থ-সামাজিক অবস্থা বিবেচনায় সব শ্রেণির বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মাসিক সম্মানি ভাতা ২০২১-২০২২ অর্থবছরে ন্যূনতম ২০ হাজার টাকায় উন্নীত করা হয়েছে। এছাড়া, তাদের আবাসন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিনামূল্যে ৩০ হাজার বীর নিবাস নির্মাণ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ১১ হাজার ৫৭টি বীর নিবাস নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে।
তিনি বলেন, সামাজিক নিরাপত্তামূলক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য আগামী ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে ১ লাখ ৩৬ হাজার ২৬ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করছি, যা ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে ১ লাখ ২৬ হাজার ২৭২ কোটি টাকা ছিল।