বাংলাদেশের অনুকূলে ঋণের তৃতীয় কিস্তির অর্থ ছাড়ের প্রস্তাবটি আজ সোমবার (২৪ জুন) উত্থাপন হবে আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিলের (আইএমএফ) নির্বাহী পরিষদের বৈঠকে।
এটি চূড়ান্ত অনুমোদন হলে পরবর্তী এক থেকে দুই দিনের মধ্যে অর্থ ছাড় করা হবে। এই অর্থ পেলে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কিছুটা বেড়ে যাবে। বাজারে ডলারের প্রবাহ কিছুটা বাড়বে।
বাংলাদেশ সময় আজ সোমবার রাত সাড়ে ৯টায় যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটনে আইএমএফ-এর সদর দপ্তরে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। প্রস্তাবটি ওই বৈঠকে অনুমোদন হতে পারে বলে আগেই জানিয়েছিল বাংলাদেশ সফর করে যাওয়া আইএমএফ মিশন।
ঋণের কিস্তির অর্থ ছাড়ের বিষয়ে আইএমএফ-এর দেওয়া শর্ত বাস্তবায়ন এবং অর্থনৈতিক সংস্কারের অগ্রগতি দেখতে ২৪ এপ্রিল সংস্থাটির একটি মিশন ঢাকায় আসে। তারা ৮ মে পর্যন্ত অবস্থান করে সরকারের বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে বৈঠক করে। এতে তারা শর্ত বাস্তবায়নের অগ্রগতি ও ভবিষ্যৎ সংস্কার কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে চায়।
প্রতিনিধিদলটি ঢাকা ত্যাগের আগে এমন বার্তা দিয়ে যায়, শর্ত বাস্তবায়নের অগ্রগতিতে তারা খুশি। ঋণের তৃতীয় কিস্তির অর্থ ছাড়ের বিষয়ে তারা প্রতিবেদনে সুপারিশ করবে। তারা আশা প্রকাশ করে, নির্বাহী পরিষদ ঋণের অর্থ ছাড়ের প্রস্তাবটি অনুমোদন করবে।
বৈঠকে প্রস্তাবটি অনুমোদন হলে মঙ্গলবার বা বুধবার ঋণের অর্থ পাওয়া যাবে। এবার তৃতীয় কিস্তি বাবদ ১১৫ কোটি ২০ লাখ ডলার দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। টাকার বড় ধরনের অবমূল্যায়নের কারণে কিস্তির অর্থও বেড়েছে। এই অর্থ পেলে দেশের নিট রিজার্ভ আবার ২ হাজার কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাবে। এর আগে একাধিকবার নিট রিজার্ভ ২ হাজার কোটি ডলারের নিচে নেমেছে।
এর আগে গত বছরের ৩১ জানুয়ারি আইএমএফ বাংলাদেশের অনুকূলে ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ প্রস্তাব অনুমোদন করে। এর মধ্যে দুটি কিস্তিতে ১১৬ কোটি ডলার ছাড় করা হয়েছে। এখন তৃতীয় কিস্তি বাবদ ১১৫ কোটি ডলার ছাড় করার পর্যায়ে রয়েছে।
ঋণের চতুর্থ কিস্তির অর্থ ছাড়ের বিষয়ে চলতি বছরের নভম্বরের শেষদিকে আরও একটি মিশন ঢাকায় আসতে পারে। ডিসেম্বরে ঋণের চতুর্থ কিস্তির অর্থ ছাড় হওয়ার কথা রয়েছে।