অর্থনীতি

শেয়ারদর বাড়া কমায় পুরনো সার্কিট ব্রেকার চালু বৃহস্পতিবার

পুঁজিবাজারের শেয়ারের দাম বাড়া বা কমার ক্ষেত্রে ২০২১ সালের ১৭ জুন জারি করা সার্কিট ব্রেকার সংক্রান্ত নির্দেশনা পুনর্বহাল করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। ফলে, কোম্পানিগুলোর শেয়ার দাম বাড়া বা কমার ক্ষেত্রে আবারও পুরনো সার্কিট ব্রেকারে ফিরছে।

শেয়ারের বাজারমূল্য ভেদে প্রতিদিন সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারবে। একইভাবে ১০ শতাংশ পর্যন্ত কমতে পারবে। বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। ফলে থাকছে না শেয়ারের দাম কমার ক্ষেত্রে ৩ শতাংশ সর্বোচ্চ সীমা।

তবে, বাংলাদেশ এক্সপোর্ট ইমপোর্ট কোম্পানি লিমিটেড (বেক্সিমকো) এবং ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির ওপর ফ্লোরপ্রাইস অব্যাহত থাকবে।

বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিএসইসি চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ৯১৬তম কমিশন সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র ফারহানা ফারুকী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ফ্লোর প্রাইস উঠিয়ে নেওয়া সকল কোম্পানির ক্ষেত্রে সার্কিট ব্রেকার সংক্রান্ত কমিশনের ২০২১ সালের ১৭ জুন জারি করা নির্দেশনা (বিএসইসি/সার্ভেইল্যান্স/২০২০-৯৭৫/২১৯; তারিখ: ১৭ জুন ২০২১) পুনর্বহাল করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

২০২১ সালের ১৭ জুন জারি করা নির্দেশনায় উল্লেখ রয়েছে, যে কোনও কোম্পানির শেয়ারের আগের দিনের ক্লোজিং মূল্যের আলোকে পরদিন এ সীমা প্রযোজ্য হয়। কোনও শেয়ারের দাম ২০০ টাকার মধ্যে থাকলে এর মূল্য ১০ শতাংশ বাড়তে বা কমতে পারবে। শেয়ারের দাম ২০০ থেকে ৫০০ টাকার মধ্যে থাকলে, এর মূল্য ৮.৭৫ শতাংশ বাড়তে বা কমতে পারবে। শেয়ারের দাম ৫০০ থেকে ১০০০ টাকার মধ্যে হলে, এর মূল্য ৭.৫০ শতাংশ বাড়তে বা কমতে পারবে। শেয়ারের দাম ১০০০ থেকে ২০০০ টাকার মধ্যে হলে এর মূল্য ৬.২৫ শতাংশ বাড়তে বা কমতে পারবে। শেয়ারের দাম ২০০০ থেকে ৫০০০ টাকার মধ্যে হলে এর মূল্য ৫ শতাংশ বাড়তে বা কমতে পারবে। আর শেয়ারের দাম ৫০০০ টাকার উপরে হলে, এর মূল্য ৩.৭৫ শতাংশ বাড়তে বা কমতে পারবে।