অর্থনীতি

দেশের বড় প্রকল্পে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী কোরিয়া: অর্থ উপদেষ্টা

কোরিয়া বাংলাদেশে বড় বড় প্রকল্পে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলে জানিয়েছেন অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ।

কোরিয়ার ঋণ বেশি ভালো উল্লেখ করে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমাদের বেশ কিছু বড় প্রকল্প রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে। সামনে আরও কিছু বড় প্রকল্পে কোরিয়া আগ্রহ দেখিয়েছে। তাদের ঋণের সুদের হার দশমিক ৫ শতাংশ এবং ৪০ বছর মেয়াদ। তারা আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে প্রতিযোগিতামূলকভাবে অংশগ্রহণ করে থাকে। নেগোশিয়েশনের মাধ্যমে ওর কাজ পেতে আগ্রহী না।

রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএএফ) আবাসিক প্রতিনিধি জয়েন্দু দে, বাংলাদেশে নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত ম্যারি মাসদুপাই, দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ুং সিক এবং ইন্টারন্যাশনাল ফান্ড ফর এগ্রিকালচারাল ডেভেলপমেন্টের (ইফাদ) কান্ট্রি ডিরেক্টর ভ্যালেন্টাইন আচানচোর সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

সকাল সাড়ে ১০টায় আইএমএফ প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শুরু হয়। এরপর পর্যায়ক্রমে ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত, দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত এবং ইফাদ কান্ট্রি ডিরেক্টরের সঙ্গে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে সন্ধ্যার দিকে এসব বৈঠকের বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন সালেহউদ্দিন আহমেদ।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আইএমএফের প্রতিনিধি এসেছিলেন। সামনে আইএমএফের একটি মিশন আসবে। সেটার প্রস্তুতির বিষয়ে কতজন আসবে কী করবে, সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

তিনি বলেন, দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত দেখা করেছেন। আমাদের বেশ কিছু বড় প্রকল্প রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার সাথে। প্রযুক্তি ও মানের দিক থেকে কোরিয়ার পণ্য কিন্তু ভালো। তাদের ঋণের সুদের হার দশমিক ৫ শতাংশ এবং ৪০ বছর মেয়াদ। ওদের ঋণ সফট এবং ভালো কাজের জন্য দেয়। তারা আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে প্রতিযোগিতামূলকভাবে অংশগ্রহণ করে থাকে। নেগোশিয়েশনের মাধ্যমে ওর কাজ পেতে আগ্রহী না। সামনে আরো কিছু বড় প্রকল্পে কোরিয়া আগ্রহ দেখিয়েছে।

ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, কারিগরি খাতে ফ্রান্সের দক্ষতা রয়েছে যেমন তথ্য প্রযুক্তি। তারা আমাদের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা দেবে। তাদের দেখে অন্য ই্উরোপীয় দেশগুলোও এগিয়ে আসবে।

সবার শেষে ইফাদের সঙ্গে বৈঠকের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ইফাদ অনেক আগে থেকেই বাংলাদেশের কৃষি, বিভিন্ন প্রকল্প, ক্ষুদ্র ঋণের ক্ষেত্রে যথেষ্ট সহায়তা করে আসছে। ওদের অনেকগুলো প্রকল্প আছে, সামনে আরও প্রকল্পে সহায়তা করবে। ইফাদের সঙ্গে আজকে বিশেষ করে কৃষি পুনর্বাসন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এ ব্যাপারে যা যা করার ওরা সহযোগিতা করবে।