অর্থনীতি

পর্যটনে আস্থার নাম সিগাল গ্রুপ

বাংলাদেশে ভ্রমণ ও পর্যটন শিল্পে আস্থার নাম সিগাল গ্রুপ। দীর্ঘদিন ধরে পাঁচ তারকা মানের সেবা দিয়ে আসছে এ গ্রুপ। তাই, কক্সবাজারে ও টাঙ্গাইলে ঘুরতে গেলে ভ্রমণপিপাসুরা বেছে নেন সিগালকে।

সিগাল গ্রুপ অব কোম্পানির জেনারেল ম্যানেজার (সেলস অ্যান্ড মাকেটিং) ইমাম উদ্দিন আহমেদ সাদী বলেছেন, ঢাকার আশপাশে কোথাও ফ্যামিলি নিয়ে ঘুরতে যেতে চাইলে যেতে পারেন সিগ্যাল রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা ভিলেজে। সবুজ গাছপালায় ভরা বিশাল বাগান নিয়ে তৈরি রিসোর্টে পাবেন সাধ্যের মধ্যে সব সুবিধা। এটি মূলত কক্সবাজারের ঐতিহ্যবাহী ফাইভ স্টার হোটেল সিগালের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান। সদ্য যাত্রা শুরু করা এই রিসোর্টে দর্শনার্থীদের জন্য আছে বিশেষ ছাড়। ঢাকার প্রাণকেন্দ্র থেকে রওনা দিলে দুই থেকে আড়াই ঘণ্টার ভেতরে পৌঁছে যেতে পারবেন টাঙ্গাইলে সিগাল রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা ভিলেজে। সেখানে থাকছে ডে লং ট্রিপ ও নাইট স্টে করার সুযোগ।

তিনি জানান, চাইলে দিতে পারবেন অগ্রিম রুম বুকিং। হাফ কটেজে পাচ্ছেন ১টি রুম, প্রাইভেট পুল এবং ফুল কটেজে দুটি রুম ও প্রাইভেট পুল। এছাড়াও টাওয়ার বিল্ডিংয়েও রুমের ব্যবস্থা আছে। 

হোটেল সিগাল কক্সবাজারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) জানান, সিগাল শুধু কক্সবাজারে নয়, বাংলাদেশের মধ্যেই অন্যতম ঐতিহ্যবাহী ফাইভ স্টার তারকা হোটেল। কক্সবাজারের সিগালে যেমন আমরা আমাদের গেস্টদের সুযোগ-সুবিধার ব্যাপারে কোনো আপস করি না, এখানেও ঠিক তেমনই সুবিধা থাকবে। টাঙ্গাইল এই রিসোর্টকে ধীরে ধীরে পাঁচ তারকা মানের পর্যায়ে নিয়ে যাব।

তিনি বলেন, কক্সবাজারকে বলা হয় দেশের পর্যটন রাজধানী। পৃথিবীর দীর্ঘতম সৈকত। যতই মন খারাপ থাকুক, সাগরের বিশালতার সামনে দাঁড়ালে নিমিষেই মন ভালো হয়ে যায়। কিন্তু, ভ্রমণের জায়গাটি হতে হবে নিরাপদ, ঝামেলামুক্ত। এজন্যই কক্সবাজারে আছে ঐতিহ্যবাহী পাঁচ তারকা হোটেল সিগাল। সারি সারি ঝাউবন, বালুর নরম বিছানা, বিশাল সমুদ্র। কক্সবাজার গেলে সকালে-বিকেলে সমুদ্রতীরে বেড়াতে মন চাইবে। সাগরের বিশালতার টানেই হোক কিংবা অবকাশ যাপন, জেলাটি সব সময় মুখর থাকে পর্যটকদের অভিবাদন জানাতে। বিপুল পর্যটকদের রাত্রিযাপন নিশ্চিত করতে সমুদ্র সৈকতের কাছে তৈরি করা হয়েছে অসংখ্য আবাসিক হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট এবং কটেজ। কিন্তু, সবগুলোতে নেই পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা। নেই নিরাপত্তা। অনেক সময় ছুটির দিনগুলোতে পর্যটকরা রুম পান না। অনেক হোটেলে আছে নানা সমস্যা। কিন্তু, হোটেল সিগাল এসব দিক থেকে ব্যতিক্রম ও ঐতিহ্যবাহী। দীর্ঘদিন যাবত একইরকমভাবে গ্রাহকদের পাঁচ তারকা মানের সুযোগ-সুবিধা দিয়ে আসছে। কক্সবাজারে অন্যতম প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী এই হোটেলে নিরাপত্তা, সার্ভিস সুবিধা, কাস্টমারকে সন্তুষ্ট করতে তাদের আছে নানা ব্যবস্থা। এমনকি, রয়েছে নিজস্ব প্রাইভেট বিচ। সেখানে থাকতে দুই রাত, দুই দিনের একোমোডেশন, ব্রেকফাস্টসহ নানা সময়ে থাকে অসাধারণ প্যাকেজ। 

হোটেল সিগাল কক্সবাজারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আরও বলেন, আমরা আমাদের গেস্টদের সুযোগ-সুবিধার ব্যাপারে কোন আপস করি না। আমাদের প্রতিটি ইউনিট শতভাগ কর্পোরেট, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও আন্তরিক। আমাদের সকল সুযোগ-সুবিধার মধ্যে অন্যতম ওয়েলকাম ড্রিংকস, ব্রেকফাস্ট (বুফে), এসি ও গিজার ফ্যাসিলিটি, আনলিমিটেড ওয়াই-ফাই, ইনরুম মিনারেল ওয়াটার, কফি-চা, সুবিশাল সুইমিং পুল, জাকুজি, বাগান, রাতে পুলসাইড লাইভ মিউজিক ও বারবিকিউ, মজাদার খাবার, ২৪ ঘণ্টা রুম সার্ভিস এবং অন্যান্য সুবিধা। প্রশিক্ষিত নিরাপত্তাকর্মী দ্বারা নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থা, পার্কিং সুবিধা, রেস্টুরেন্ট সার্ভিস এবং রুম সার্ভিসসহ অন্যান্য সুবিধা। হোটেল সিগাল থেকে বীচের দূরত্ব মাত্র ১ মিনিটের হাঁটাপথ।