অর্থনীতি

পুঁজিবাজারে বড় পতন, প্রতিবাদে বিক্ষোভ

ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই ও সিএসই) সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবস বুধবার (২ অক্টোবর) সূচকের বড় পতনের মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। এদিন ডিএসই ও সিএসইতে আগের কার্যদিবসের চেয়ে টাকার পরিমাণে লেনদেন কিছুটা বেড়েছে। তবে উভয় পুঁজিবাজারে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার এবং মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিটের দাম কমেছে।

ডিএসই ও সিএসই সূত্রে জানা গেছে, দিন শেষে ডিএসই’র প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ১৩২.২৯ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৫৩ পয়েন্টে। ডিএসই শরিয়া সূচক ৩২.৫১ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ২১৮ পয়েন্টে এবং ডিএস৩০ সূচক ৫১.৩২ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৯৮৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

ডিএসইতে মোট ৩৯৮টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ২৯টি কোম্পানির, কমেছে ৩৪৭টির এবং অপরিবর্তিত আছে ২২টির।

ডিএসইতে এদিন মোট ৪৪০ কোটি ৮৩ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৩৮৯ কোটি ৪৭ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।

অন্যদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সিএসসিএক্স সূচক ১৮৭.২৩ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৯ হাজার ২৮৪ পয়েন্টে। সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৩০৬.১৭ পয়েন্ট কমে ১৫ হাজার ২৯১ পয়েন্টে, শরিয়া সূচক ২১.২০ পয়েন্ট কমে ৯৯৪ পয়েন্টে এবং সিএসই ৩০ সূচক ২৫৪.৩৯ পয়েন্ট কমে ১২ হাজার ৪৫৪ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

সিএসইতে ২১৬টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ২৪টি কোম্পানির, কমেছে ১৭৭টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৫টির।

দিন শেষে সিএসইতে ৫ কোটি ৯৬ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৫ কোটি ৮৯ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।

এদিকে বুধবার সকাল থেকেই উভয় পুঁজিবাজারে দরপতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সূচকের পতনের মাত্রা বাড়তে থাকে। একপর্যায়ে সূচকের পতন ১০০ পয়েন্টের বেশি ছাড়িয়ে যায়। পুঁজিবাজারের ধরাবাহিক পতনের প্রতিবাদে বুধবার (২ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত মতিঝিলে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পুরাতন ভবনের সামনে মানববন্ধন করেছেন বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের বিনিয়োগকারীরা। এ সময় তারা বিএসইসির নতুন চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের পদত্যাগ দাবি করেন এবং ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জ গঠন করার দাবি জানান।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের অর্থ সম্পাদক মো. সাজ্জাদুর রহমান রাইজিংবিডিকে বলেন, পুঁজিবাজারের ধারাবাহিক দর পতন অব্যাহত রয়েছে। এ পরিস্থিতিতে বিনিয়োগকারীদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। এখন বিনিয়োগকারীদের একটাই দাবি, বিএসইসির নতুন চেয়ারম্যানের পদত্যাগ। একইসঙ্গে আমরা সরকারের কাছে দুই স্টক এক্সচেঞ্জ বাদ দিয়ে একটি ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জ গঠনের দাবি জানাচ্ছি। আর সদস্যভুক্ত মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোকে পুঁজিবাজারের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অংশগ্রহণ থেকে বিরত রাখার দাবি জানাচ্ছি।