অর্থনীতি

ই–কমার্সে ৫০০ ডলার পর্যন্ত পণ্য রপ্তানিতে বিশেষ ছাড়

ই–কমার্সে পণ্য রপ্তানিতে বিশেষ ছাড় দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এখন থেকে সর্বোচ্চ ৫০০ ডলার মূল্যের পণ্য ই–কমার্সের মাধ্যমে রপ্তানিতে শুধু ইএক্সপি ফরম পূরণ করতে হবে। ক্ষুদ্র রপ্তানিকারকদের উৎসাহিত করতে এ ছাড় দেওয়া হয়েছে। আগে ১৮ ধরনের শর্ত পূরণ করে রপ্তানি করতে হতো। 

সোমবার (১৪ অক্টোবর) বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা ও নীতি বিভাগ ৫০০ ডলারের পণ্য রপ্তানিতে বিশেষ ছাড় দিয়ে সার্কুলার জারি করেছে। 

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ থেকে যে কোনো পণ্য বেসরকারিভাবে বিদেশে রপ্তানির ক্ষেত্রে ইএক্সপি ফরম পূরণ করা বাধ্যতামূলক। গ্রাহকের পক্ষ হয়ে সংশ্লিষ্ট অথরাইজড ডিলার (এডি) ব্যাংক ওই ফরমের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ঘোষণা দেয়। 

রপ্তানিকারকদের দীর্ঘদিনের অভিযোগ ছিল, রপ্তানি প্রক্রিয়ায় এখন ১৪ ধরনের নথি দিতে হয়। 

এ পদ্ধতিতে রপ্তানি কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে মনোনীত এক্সপ্রেস বা কুরিয়ার সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ন্যায্যমূল্যে পণ্য সরবরাহের এবং বিল অব এক্সপোর্ট ইস্যুসহ শুল্কায়ন সম্পর্কিত আনুষ্ঠানিকতা পরিপালনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে পণ্য সরবরাহের ক্ষেত্রে সব খরচ রপ্তানি আয় দিয়ে নিষ্পত্তি করার শর্ত প্রযোজ্য হবে। পণ্য জাহাজিকরণের পরেই বিল অব এক্সপোর্ট ও কুরিয়ার রিসিপ্টসহ রপ্তানি দলিলাদি ব্যাংকের কাছে দাখিলের পর প্রাপ্যতা অনুযায়ী রপ্তানি আয় ব্যাংক রপ্তানিকারকের হিসাবে জমা করতে পারবে।

বাংলাদেশ ব্যাংক ২০১৮ সালে পণ্য বিদেশে পাঠানোর মূল্য প্রত্যাবাসনের শর্তে ই–কমার্স পদ্ধতির আওতায় বিজনেস টু কনজুমার ভিত্তিক রপ্তানি পদ্ধতি প্রবর্তন করে। পরে ২০১৯ সালে বিজনেস টু কনজুমার রপ্তানির ক্ষেত্রে ইলেকট্রনিক উপায়ে ইএক্সপি ফরম দাখিলের ব্যবস্থা নেওয়া হয়। 

ক্রসবর্ডার ই–কমার্স পদ্ধতিতে বিজনেস টু কনজুমার ভিত্তিক ক্ষুদ্র পরিসরে ঘোষণা ছাড়া ৫০০ মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানির এই সুযোগ দেশের রপ্তানি বাণিজ্য প্রসারে কার্যকরী ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।