অর্থনীতি

পতনমুখী ডিএসইতে ৯ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন লেনদেন

ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই ও সিএসই) সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবস বুধবার (১৬ অক্টোবর) সূচকের বড় পতনের মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। এদিন ডিএসই ও সিএসইতে আগের কার্যদিবসের চেয়ে টাকার পরিমাণে লেনদেন কমেছে। ডিএসইতে গত ৯ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন লেনদেন হয়েছে। এদিন উভয় স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার এবং মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিটের দাম কমেছে।

ডিএসই ও সিএসই সূত্রে জানা গেছে, দিনশেষে ডিএসই’র প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ৪৯.৭৫ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৩১৬ পয়েন্টে। ডিএসই শরিয়া সূচক ১২.৪৭ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ১৮২ পয়েন্টে এবং ডিএস৩০ সূচক ১৫.৭৪ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৯৪৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

ডিএসইতে মোট ৩৯৫টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ৫৩টি কোম্পানির, কমেছে ৩০০টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৪২টির।

ডিএসইতে এদিন মোট ২৯৬ কোটি ৩৪ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৩১৮ কোটি ৭ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট। এর আগে চলতি বছরের ৩ জানুয়ারি ২৯২ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছিল। সে হিসেবে ডিএসইতে গত ৯ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন লেনদেন হয়েছে।

অন্যদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সিএসসিএক্স সূচক ৪১.১৮ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৯ হাজার ১০২ পয়েন্টে। সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৭১.৫৬ পয়েন্ট কমে ১৪ হাজার ৯৭৬ পয়েন্টে, শরিয়া সূচক ৬.৪১ পয়েন্ট কমে ৯৬৯ পয়েন্টে এবং সিএসই ৩০ সূচক ৩৮.০৭ পয়েন্ট কমে ১২ হাজার ২০৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

সিএসইতে ২০৯টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ৪৫টি কোম্পানির, কমেছে ১৪০টির এবং অপরিবর্তিত আছে ২৪টির।

দিনশেষে সিএসইতে ৭ কোটি ৯৫ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৮ কোটি ২০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।