অর্থনীতি

রমজানে সরবরাহ নিশ্চিত করতে কেনা হচ্ছে ৫ হাজার মেট্রিক টন চিনি

আগামী বছর রমজানে চিনির সরবরাহ নিশ্চিত এবং স্বল্প দামে বিক্রির জন্য উন্মুক্ত (স্থানীয়) দরপত্রের মাধ্যমে ৫ হাজার মেট্রিক টন চিনি ক্রয়ের উদ্যোগ নিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। প্রতি কেজি চিনি ১২০.৯২ টাকা হিসেবে মোট ব্যয় হবে ৬০ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। দেশীয় চিনি উৎপাদক সংস্থা সিটি সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড সর্বনিন্ম দরদাতা হিসেবে এই চিনি সরবরাহ করবে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) এর মাধ্যমে পণ্য ক্রয়ের লক্ষ্যে প্রণীত বার্ষিক ক্রয় পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদিত হয়। অনুমেদিত ক্রয় পরিকল্পনা অনুযায়ী পণ্য ক্রয়ের ক্ষেত্রে অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাউন্টার গ্যারান্টি প্রাপ্তি সাপেক্ষে ব্যাংকের এলটিআর সৃষ্টি করে পণ্য ক্রয়ের বিল পরিশোধ করা হয়। পণ্য বিক্রয় লব্ধ অর্থ ও ভর্তুকি বাবদ প্রাপ্ত অর্থের মাধ্যমে এলটিআর পরিশোধ করা হয়ে থাকে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

টিসিবি’র ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে বার্ষিক পরিকল্পনায় ১ লাখ ৪৪ হাজার মেট্রিক টন চিনি ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও এখন পর্যন্ত সংস্থাটি কোনো চিনি ক্রয় করে নাই। মোট চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে সমগ্র বাংলাদেশে (সিটি করপোরেশন ও পৌরসভাসহ) টিসিবি’র ফ্যামিলি কার্ডধারী এক কোটি নিম্ন আয়ের পরিবারের মাঝে প্রতিমাসে ভর্তুকি দামে পণ্য বিক্রির লক্ষ্যে টিসিবি থেকে স্থানীয়ভাবে ৫ হাজার মেট্রিক টন চিনি ক্রয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

জানা গেছে, স্থানীয়ভাবে ৫ হাজার মেট্রিক টন চিনি ক্রয়ের জন্য গত ২২ সেপ্টেম্বর উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বান করা হয়। এতে ২টি প্রতিষ্ঠান দরপত্র দাখিল করে। এরমধ্যে সিটি সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ৫০ কেজি’র ব্যাগে ৫ হাজার মেট্রিক টন চিনি সরবরাহ করবে। প্রতিষ্ঠানটি সব খরচসহ প্রতি কেজি চিনির দাম উল্লেখ করে ১২০.৯২ টাকা। অপর প্রতিষ্ঠান মেঘনা সুগার রিফাইনারি লিমিটেড প্রতি কেজির দাম ১২৩.৭৫ টাকা উল্লেখ করে।  

দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি সর্বনিন্ম দরদাতা সিটি সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের কাছ থেকে ৫০ কেজির বস্তায় অগ্রিম আয়কর, প্রযোজ্য মূসক এবং টিসিবি’র গুদামগুলোতে পরিবহন খরচসহ প্রতি কেজি ১২০.৯২ টাকা দরে ৫ হাজার  মেট্রিক টন চিনি ৬০ কোটি ৪৬ লাখ টাকা দামে ক্রয়ের সুপারিশ করে। 

এ সংক্রান্ত একটি ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির পরবর্তী সভায় উপস্থাপন করা হতে পারে।