অর্থনীতি

সিটি ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা বাড়ল ৭৭ শতাংশ

সিটি ব্যাংক ২০২৪ সালের প্রথম ৯ মাসের ফলাফল বিনিয়োগকারীদের সামনে তুলে ধরেছে। সোমবার (৪ নভেম্বর) ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে দেশ-বিদেশের সব বিনিয়োগকারী, শেয়ার বিশ্লেষক ও গণমাধ্যমের সামনে তৃতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন সম্পর্কে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেয় ব্যাংকটি।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, এ বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ব্যাংকটির সমন্বিত পরিচালন মুনাফা বেড়েছে ৭৭ শতাংশ। গত বছর একই সময়ে সিটি ব্যাংক মুনাফা করেছিল ৯৩২ কোটি টাকা, যা এবার দাঁড়ায় ১ হাজার ৬৫৩ কোটি টাকায়। তবে, অতিসতর্কতা নিয়ে ঋণের বিপরীতে প্রভিশন সংরক্ষণ বেশি রাখার কারণে কর পরবর্তী মুনাফা বেড়েছে ১৯ শতাংশ। গত বছর প্রথম ৯ মাসে এ মুনাফা ছিল ৩৭৯ কোটি টাকা, যা এবার দাঁড়ায় ৪৫১ কোটি টাকায়।

অনুষ্ঠানে ব্যাংকের এএমডি ও সিএফও মো. মাহবুবুর রহমান এই আর্থিক প্রতিবেদনের নানাদিক তুলে ধরেন। 

এমডি ও সিইও মাসরুর আরেফিন জানান, চলতি বছর শেষে সিটি ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা প্রথমবারের মতো ২ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাওয়ার ব্যাপারে তিনি আশাবাদী। 

প্রথম ৯ মাসে ৭৭ শতাংশ মুনাফা বৃদ্ধির কারণ হিসেবে তিনি জানান, ব্যাংকের আমানত এই ৯ মাসে ১০ হাজার ১০০ কোটি টাকা বাড়লেও আমানতের ব্যয় ৪.৫ শতাংশে ধরে রাখা সম্ভব হয়েছে। এছাড়া, সুদ আয়ের উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি, সরকারি বিল-বন্ডে বিনিয়োগ থেকে ভালো অংকের আয় ইত্যাদি বিষয়কেও তিনি কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন। 

মাসরুর আরেফিন আরও জানান, এই নয় মাসে ব্যাংকের আয় ৪০ শতাংশ বাড়লেও ব্যয় বেড়েছে মাত্র ৮.৮ শতাংশ। এর ফলে আয়-ব্যয়ের অনুপাত গত বছরের ৫৪.৫ শতাংশ থেকে ৪২ শতাংশে নেমে এসেছে। 

কর পরবর্তী মুনাফা ততটা না বাড়ার কারণ হিসেবে তিনি জানান, ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ নিজেদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ঋণের বিপরীতে প্রভিশন সংরক্ষণ প্রয়োজনের অতিরিক্ত (এ বছর সংরক্ষিত মোট প্রভিশনের ৬৭%) ধরে রেখেছে, যা বছরের শেষে গিয়ে পুনর্বিবেচনার সুযোগ আছে।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের ডিএমডি ও চিফ রিস্ক অফিসার মেসবাউল আসীফ সিদ্দিকী, ডিএমডি ও হেড অব ইন্টারনাল কন্ট্রোল অ্যান্ড কমপ্লায়েন্স এ কে এম সায়েফ উল্লাহ কাউসার এবং হেড অব ট্রেজারি মো. শাহ আলম। অংশগ্রহণকারীদের প্রশ্নোত্তর পর্বের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি সমাপ্ত হয়।

উল্লেখ্য, গত কয়েক বছরে সিটি ব্যাংকের ক্রমোন্নতি, বিশেষ করে টেকসই ও সবুজ অর্থায়ন এবং ডিজিটাল ব্যাংকিংয়ে অগ্রযাত্রা, আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের নজর কেড়েছে।