গ্লোবাল ইলেকট্রনিক্স জায়ান্ট ওয়ালটন তার পরিবারের প্রত্যেক সদস্যের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর। এ জন্য প্রতিষ্ঠানজুড়ে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কার্যক্রম চলমান রয়েছে। সব ধরনের নিরাপত্তা নির্দেশনা মেনে নিজেদের দীর্ঘসময় ধরে আঘাতমুক্ত রাখার পাশিাপশি কোনো কর্মঘণ্টা নষ্ট না করে উৎপাদন ব্যবস্থা পরিচালিত হচ্ছে ওয়ালটনের প্রোডাকশন প্লান্টে। এসব কর্মযজ্ঞে যেসব সদস্য কর্মরত রয়েছেন তাদের নিয়ে এবার ‘Lost Time Injury (LTI) Free Man Hours’ উৎসবের আয়োজন করেছে ওয়ালটন।
বুধবার (৬ নভেম্বর, ২০২৪) গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন হেডকোয়াটার্সে ওয়ালটনের এনভায়রনমেন্ট হেলথ এন্ড সেফটি (ইএইচএস) বিভাগের পক্ষ থেকে এই উৎসবের আয়োজন করা হয়। ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম মাহবুবুল আলম অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর (ডিএমডি) ইউসুফ আলী, ওয়ালটন ফ্যানের চিফ বিজনেস অফিসার (সিবিও) সোহেল রানা এবং ইএইচএস বিভাগের প্রধান মোস্তাফিজুর রহমান রাজুসহ প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ওয়ালটনে কর্মরত সদস্যদের কাজের স্বীকৃতি ও উৎসাহ দিতেই এই উৎসবের আয়োজন করে কর্তৃপক্ষ। জানা গেছে, বাংলাদেশ তথা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের চাহিদা মেটানোর পরেও ওয়ালটনের অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যানুফ্যাকচারিং ইউনিট ফ্যান উৎপাদনে গত ১ বছরেরও বেশি (১৫ লক্ষের অধিক কর্মঘণ্টা) সময় ধরে এলটিআই বা Lost Time Injury মুক্ত রয়েছে।
ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি.’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম মাহবুবুল আলম বলেন, ওয়ালটনের প্রধান স্লোগান হচ্ছে ‘সবার আগে নিরাপত্তা’। আর্থাৎ আগে নিজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। এর মানে হচ্ছে যেকোন কাজের চেয়ে নিজের নিরাপত্তার গুরুত্ব অনেক বেশি। এসময় তিনি উপস্থিত সবাইকে নিরাপত্তা মেনে এতো বড় অর্জনের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
পরিবারের সদস্যদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, সারা বছর আপনারা অক্লান্ত পরিশ্রম করে দেশ-বিদেশের চাহিদা মিটিয়ে মানব সেবামূলক কাজ করেছেন। তারপরেও দুর্ঘটনামুক্ত থাকার এই রেকর্ড সত্যিই আমাদের অভিভূত করেছে।
ডিএমডি ইউসুফ আলী বলেন, দুর্ঘটনামুক্ত থাকাটা একজন ব্যক্তির প্রাথমিক দায়িত্ব। প্রত্যেকের নিজ নিজ অবস্থান থেকে সঠিক কাজ করার ফলাফল আমরা আজকে পেয়েছি। ওয়ালটনকে এভাবে দুর্ঘটনামুক্ত রাখতে আমাদের সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
ওয়ালটন ফ্যান প্রোডাক্টের সিবিও সোহেল রানা তার বক্তব্যে বলেন, সাড়া বছর আপনারা অক্লান্ত পরিশ্রম করে দেশ-বিদেশের চাহিদা মিটিয়ে মানব সেবামূলক কাজ করেছেন। তারপরেও দুর্ঘটনামুক্ত থাকার এই রেকর্ড সত্যিই আমাদের অভিভূত করেছে। এই বিষয়ে তিনি সংশ্লিষ্ট সকলের পাশাপাশি ইএইচএস বিভাগকে বিশেষ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।
সবশেষে ইএইচএস বিভাগের প্রধান মো. মোস্তাফিজুর রহমান রাজু বলেন, পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে ‘Lost Time Injury (LTI) Free Man Hours’ একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্জন। এই অর্জনে আমরা প্রত্যক্ষভাবে জড়িত থাকতে পেরে গর্বিত অনুভব করছি। মূলত নিরাপত্তার বিষয়ে সকলের সচেতনতা এই অর্জনের এর অন্যতম কারণ। তাই প্রত্যেকেই নিজ নিজ অবস্থান থেকে আরও সচেতন হলে এরকম অনুষ্ঠান আমরা নিয়মিত আয়োজন করতে পারবো।
এছাড়া, অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট ফ্যান প্রডাকশন, ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট বিভাগের চিফ ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিস অফিসার মো. নিজাম উদ্দিন মজুমদার, মোল্ড প্রোডাক্টের চিফ বিজনেস অফিসার মো. সাদিকুর রহমান, লজিস্টিকস এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন বিভাগীয় প্রধান শাহিনুর সুলতানা রেখা, ডাই প্রোডাক্টের চিফ বিজনেস অফিসার এসএম সোহেল কবির, একাউন্স এন্ড ফাইন্যান্স বিভাগের ভারপ্রাপ্ত বিভাগীয় প্রধান মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, প্রশাসন বিভাগীয় প্রধান অবসরপ্রাপ্ত মেজর জাহিদুল হাসান, মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগীয় প্রধান মো. আনোয়ারুল ইসলাম, ব্যবস্থাপনা পরিচালকের বিজনেস কো-অর্ডিনেটর ইঞ্জিনিয়ার প্রতিক কুমার মোদাক, ইলেকট্রিক্যাল এপ্লায়েন্স এর কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগীয় প্রধান মো. মোজাহিদুল ইসলাম, জেনারেল এডমিন সেকশনের ইঞ্জিনিয়ার নাজমুস সাদায়াত ও ইঞ্জিনিয়ার মো. এনামুল হকসহ অন্যান্য বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ সিনিয়র প্রতিনিধিগন উপস্থিত থেকে সবাইকে উৎসাহ ও ধন্যবাদ জানান। পরবর্তিতে ভাল কাজের জন্য নির্বাচিত কর্মীদের সেফটি হিরো পুরষ্কার প্রদান, কেক কাটা এবং সংশ্লিষ্ট ফ্যান ইউনিটকে সনদ প্রদানের মধ্য দিয়ে এই জমকালো আয়োজনের সমাপ্তি হয়।