বাজারে শীতকালীন সবজির সরবরাহ বাড়তে থাকায় প্রায় সব ধরনের সবজির দাম কমতে শুরু করেছে। ফলে সাধারণ ক্রেতারা স্বস্তি প্রকাশ করেছেন। গত সপ্তাহের তুলনায় এ সপ্তাহে প্রত্যেক সবজির দাম গড়ে ১০ থেকে ১৫ টাকা কমেছে বলে দাবি করেছেন বিক্রেতারা।
শুক্রবার (৮ নভেম্বর) রাজধানীর ধানমন্ডিসহ বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বেগুন প্রতি কেজি ৮০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, গাজর ১৪০ টাকা, প্রতিটি পিস লাউ ৬০ থেকে ৭০ টাকা, বাঁধাকপি ও ফুলকপি ৪০ টাকা, টমেটো ১৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, দেশি শশা ৫০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, ঢেড়শ ৬০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, কাঁকরোল ৮০ টাকা, কচুরমুখী ৮০ টাকা, জালি কুমড়া ৫০ টাকা পিস, মিষ্টি কুমড়া ৬০ টাকা, মুলা ৮০ টাকা, কাঁচামরিচ ১৫০ টাকা, মুলা ৬০ টাকা ,সিম ১২০ টাকা, ধুন্দুল ৬০ টাকা, জলপাই ৬০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে, গত সপ্তাহের তুলনায় এ সপ্তাহে কমেছে ব্রয়লার মুরগির দাম। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ১৯০ টাকায়। সোনালি মুরগির দামও কমেছে, বিক্রি হচ্ছে ২৯০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি। লাল মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩১০ থেকে ৩২০ টাকা কেজি। গরুর মাংসের কেজি ৮০০ টাকা ও খাসির মাংসের কেজি ১১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি ডজন ডিমের দাম ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকা।
অন্যদিকে, মুদিবাজারের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম উচ্চ মূল্যে স্থিতিশীল রয়েছে। মানভেদে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৫০টাকা। আলু বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৭০ টাকায়। রসুন ২৪০ ও দেশি আদা ১৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
সরবরাহ ভালো থাকায় গত সপ্তাহের তুলনায় এ সপ্তাহে মাছের দামও কমেছে কিছুটা। এখন মাঝারি সাইজের রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, চাষের পাঙাস কেজি ২০০ থেকে ২১০ টাকা, তেলাপিয়া ২৫০ টাকা, কই ২২০ টাকা, শিং ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, কোরাল ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, পাবদা মানভেদে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, চিংড়ি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, দেশি পাঁচমিশালি ছোট মাছ ৬০০ টাকা, সাগরের চাপিলা মাছ ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
রাজধানীর সালেক গার্ডেন কাঁচাবাজারে সবজি বিক্রেতা জাকির মিয়া রাইজিংবিডিকে বলেন, গত সপ্তাহের তুলনায় এ সপ্তাহে শীতকালীন সবজির দাম কমেছে। ক্রেতারা সবজি কিনে স্বস্তি প্রকাশ করছেন।
রাজধানীর নিউমার্কেটের বনলতা কাঁচাবাজারে কেনাকাটা করতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী মুরাদ হোসেন রাইজিংবিডি বলেন, ‘সবজির দাম কিছুটা কমছে। তাবে আমাদের আয় তো বাড়েনি। সরকারকে ধন্যবাদ সাধারণ মানুষের কষ্ট বুঝে তারা চেষ্টা করে যাচ্ছে বাজার নিয়ন্ত্রণের জন্য’।