ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির হেডকোয়াটার্স, চন্দ্রা কালিয়াকৈর গাজীপুরে এনভায়রনমেন্ট, হেলথ অ্যান্ড সেফটি (ইএইচএস) বিভাগের ফায়ার সেফটি ম্যানেজমেন্ট সেকশনের আয়োজনে বিশেষ অগ্নিনির্বাপণ ও জরুরি বহির্গমন মহড়া করা হয়েছে।
সোমবার (১১ নভেম্বর, ২০২৪) এ মহড়ায় ওয়ালটন হেডকোয়াটার্সের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অংশ নেন।
মহড়ায় ফায়ার এক্সটিংগুইসার, ফায়ার হাইড্রেন্টের ব্যবহারিক প্রয়োগ, অগ্নিকাণ্ড ও অন্যান্য জরুরি পরিস্থিতিতে করণীয় এবং আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার ও নিরাপদ প্রস্থান বিষয়ে আলোচনা হয়।
মহড়ায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওয়ালটন হেডকোয়াটার্সের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোহাম্মদ ইউসুফ আলী বলেন, ‘‘কর্মকর্তা ও কর্মচারী সবার অগ্নিনির্বাপণ, জরুরি উদ্ধার ও প্রাথমিক চিকিৎসাবিষয়ক জ্ঞান থাকা জরুরি। এতে আগুন থেকে বাঁচা এবং বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। জরুরি পরিস্থিতি দক্ষতার সঙ্গে মোকাবিলার জন্য বাংলাদেশ শ্রম বিধি অনুযায়ী ভবনে কর্মরত সবার প্রস্তুতি বাড়ানোর লক্ষ্যে এ ধরনের মহড়া অপরিহার্য। ওয়ালটন সর্বদা এই বিষয়ে সর্বোচ্চ গুরুত্ব আরোপ করে আসছে।’’
সেই সঙ্গে বাংলাদেশের সমসাময়িক বিভিন্ন অস্থিতিশীল পরিস্থিতেতে সকলের করণীয় সম্পর্কে দিকনির্দেশনা দেন তিনি।
ওয়ালটন হেডকোয়ার্টার্সের প্রশাসন বিভাগীয় উপপ্রধান তানভীর আহম্মেদ বলেন, ‘‘যে কোনো জরুরি মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি নিজের জীবনের গুরুত্ব দিয়ে নির্দিষ্ট জায়গায় সমাবেত হতে হবে। এরকম অনুশীলনের মাধ্যমে আমরা যে কোনো জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে সক্ষম হবো।’’ ইএইচএস বিভাগের প্রধান মো. মোস্তাফিজুর রহমান রাজু বলেন, ‘‘পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে অগ্নিনিরাপত্তা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। মূলত, অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থার অনুপস্থিতি বা অভাব, নির্গমণ পথের স্বল্পতা এবং সর্বোপরি প্রশিক্ষণ ও সচেতনতার অভাব বড় ধরনের ক্ষয়-ক্ষতির জন্য দায়ী। অসতর্কতা অগ্নিকাণ্ডের প্রধান কারণ। তাই, প্রত্যেকেই নিজ নিজ অবস্থান থেকে সচেতন হলে অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি অনেকটাই কমে যাবে।’’
কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার অব্যাহত প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে এ মহড়ার আয়োজন করা হয়। জরুরি সময়ে সুশৃঙ্খলভাবে সব কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের দ্রুততম সময়ে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া ও কোম্পানির সম্পদ রক্ষার জন্য এ মহড়া কয়েকটি কার্যকরী দলে বিভক্ত ছিল।
ওয়ালটন ইএইচএস বিভাগের ফায়ার সেফটি ম্যানেজমেন্ট সেকশনের ইনচার্জ ইন্জিনিয়ার মো. ইশাদুল ইসলাম মহড়া সঞ্চালনা করেন।