দেশে খাদ্য মজুদ বৃদ্ধি করে সরকারি বিতরণ ব্যবস্থা সচল রাখতে ৫০ হাজার মেট্রিক টন নন-বাসমতি সিদ্ধ চাল আমদানি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে এসব চাল কেনা হবে। ভারতীয় প্রতিষ্ঠান মেসার্স এসএইএল অ্যাগ্রি কমোডিটিজ লিমিটেড এসব চাল সরবরাহ করবে। এতে মোট ব্যয় হবে ২৮২ কোটি ৯৬ লাখ টাকা।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির সভায় প্রস্তাবটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সভায় কমিটির সদস্য ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সভা সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজনে ও জনস্বার্থে আন্তর্জাতিক উৎস থেকে ৫ লাখ মেট্রিক টন চাল আমদানির অনুমোদন দিয়েছে ‘অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি’।
৫০ হাজার (+৫%) মেট্রিক টন নন-বাসমতি সিদ্ধ চাল আমদানির জন্য আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বান করা হলে পাঁচটি দরপত্র জমা পড়ে। পাঁচটি প্রস্তাবই আর্থিক ও কারিগরিভাবে রেসপনসিভ হয়। দরপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষে টিইসির সুপারিশকৃত রেসপনসিভ সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান মেসার্স এসএইএল অ্যাগ্রি কমোডিটিজ লিমিটেড এসব চাল সরবরাহ করবে।
প্রতি মেট্রিক টন ৪৭১.৬০ মার্কিন ডলার হিসেবে ৫০ হাজার মেট্রিক টন চাল কিনতে ব্যয় হবে ২ কোটি ৩৫ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ২৮২ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। প্রতি কেজি চালের ক্রয়মূল্য ৫৬.৫৯২ টাকা।
চলতি অর্থবছরে আন্তর্জাতিক উৎস থেকে ৩ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন চাল কেনার বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
এছাড়া, সভায় ‘শরীয়তপুর (মনোহরবাজার)-ইব্রাহিমপুর ফেরীঘাট পর্যন্ত সড়ক উন্নয়ন’ প্রকল্পের প্যাকেজ নং-ডব্লিউপি-০১ এর পূর্ত কাজের ক্রয় প্রস্তাব পুনঃপ্রক্রিয়াকরণের একটি প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি।
‘শরীয়তপুর (মনোহরবাজার)-ইব্রাহিমপুর ফেরীঘাট পর্যন্ত সড়ক উন্নয়ন’ প্রকল্পের প্যাকেজটির পূর্ত কাজের জন্য এক ধাপ দুই খাম দরপত্র পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করা হলে চারটি দরপত্র জমা পড়ে। তার মধ্যে তিনটি দরপত্রদাতাই জিপি পোর্টালে নন-রেসপনসিভ হয়। একমাত্র ওয়াহিদ কন্সট্রাকশন লিমিটেডের ১০৪ কোটি ৮৪ লাখ ৯০ হাজার ৪৬৮ টাকার দরপ্রস্তাব রেসপনসিভ বিবেচিত হয়। এক্ষেত্রে দরপত্রে প্রতিযোগিতার অভাব পরিলক্ষিত হওয়ায় অধিক সংখ্যক দরদাতার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার জন্য টিইসি ও হোপের সুপারিশ বাতিল করে ক্রয় প্রস্তাবটির পুনঃপ্রক্রিয়াকরণের অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হলে কমিটি তাতে অনুমোদন দেয়।