অর্থনীতি

ওয়ালটন হাই-টেক পার্কে বাংলাদেশে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স টিমের অগ্নিমহড়া

গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন হাই-টেক পার্কে বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স টিমের উপস্থিতিতে বিশেষ অগ্নি ও জরুরি বহির্গমন মহড়া অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (২৭ নভেম্বর) ওয়ালটন হেডকোয়াটার্স এ এই বিশেষ অগ্নিনির্বাপণ মহড়ার আয়োজন করে প্রতিষ্ঠানটির এনভায়রনমেন্ট, হেলথ অ্যান্ড সেইফটি (এইএইচএস) বিভাগের ফায়ার সেফটি ম্যানেজমেন্ট সেকশন। 

অগ্নিনির্বাপণ ও অন্যান্য বহির্গমন ব্যবস্থা সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা ও ব্যবহারিক প্রয়োগে ওয়ালটন হেডকোয়াটার্স এর চার সহস্রাধিক কর্মী স্বতঃস্ফূর্তভাবে এই মহড়ায় অংশ নেন। 

জরুরি বহির্গমন মহড়ায় ফায়ার এক্সটিংগুইসার, ফায়ার হাইড্রান্টের ব্যবহারিক প্রয়োগ, আগুন লাগলে ও অন্যান্য জরুরি পরিস্থিতিতে করণীয় এবং আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার ও নিরাপদ প্রস্থান বিষয়ে আলোচনা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওয়ালটন হাই-টেকের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোহাম্মদ ইউসুফ আলী বলেন, কর্মকর্তা ও কর্মচারী সবার অগ্নিনির্বাপণ, জরুরি উদ্ধার ও প্রাথমিক চিকিৎসা বিষয়ক জ্ঞান থাকা জরুরি। এতে করে জরুরি অবস্থায় আগুন থেকে বাঁচা এবং বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। জরুরি পরিস্থিতিতে দক্ষতার সঙ্গে মোকাবিলার জন্য বাংলাদেশ শ্রমবিধি অনুযায়ী ভবনে কর্মরত সবার প্রস্তুতি বাড়ানোর লক্ষ্যে এই ধরনের মহড়া অপরিহার্য। ওয়ালটন সর্বদা এই বিষয়ে সর্বোচ্চ গুরুত্বারোপ করে আসছে। সেইসাথে বাংলাদেশের সমসাময়িক বিভিন্ন অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে সকলের করণীয় সম্পর্কে দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।

মহড়ায় উপস্থিত ওয়ালটন হেডকোয়ার্টার্সের প্রশাসন বিভাগের উপপ্রধান তানভীর আহম্মেদ তার বক্তব্যে বলেন, যেকোনো জরুরি মুহূর্তে সব থেকে বেশি নিজের জীবনের গুরুত্ব দিয়ে নির্দিষ্ট জায়গায় সমাবেত হতে হবে। এরকম অনুশীলনের মাধ্যমে আমরা যেকোনো জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে সক্ষম হব।

ইএইচএস বিভাগের প্রধান মো. মোস্তাফিজুর রহমান রাজু বলেন, পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে অগ্নিনিরাপত্তা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। মূলত অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থার অনুপস্থিতি বা অভাব, নির্গমন পথের স্বল্পতা এবং সর্বোপরি প্রশিক্ষণ ও সচেতনতার অভাব বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির জন্য দায়ী। অসতর্কতা অগ্নিকাণ্ডের প্রধান কারণ। তাই প্রত্যেকেই নিজ নিজ অবস্থান থেকে সচেতন হলে অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি অনেকটাই কমে যাবে।

এ ছাড়াও, মহড়ায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কালিয়াকৈর স্টেশনের ইনচার্জ স্টেশন অফিসার মো. রায়হান চৌধুরী, সংশ্লিষ্ট ইলেকট্রিক্যাল এপ্লায়েন্সের কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগীয় প্রধান মোজাহিদুল ইসলাম, ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের প্রোডাক্ট ডেভেলপমেন্ট বিভাগের ইঞ্জিনিয়ার মো. ইয়াছির আল-ইমরানসহ অন্যান্য বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ সিনিয়র প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। 

কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার অব্যাহত প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে এই মহড়ার আয়োজন করা হয়। আপদকালীন সময়ে সুশৃঙ্খলভাবে সব কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের দ্রুততম সময়ে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া ও কোম্পানির সম্পদ রক্ষার জন্য, এই মহড়াটি কয়েকটি কার্যকরী দলে বিভক্ত ছিল। ওয়ালটন ইএইচএস বিভাগের ফায়ার সেফটি ম্যানেজমেন্ট সেকশনের ইনচার্জ প্রকৌশলী মো. ইশাদুল ইসলাম সঞ্চালনায় ছিলেন।