এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) পরিচালনা পর্ষদ সর্বসম্মতিক্রমে মাসাতো কান্ডাকে এডিবির ১১তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করেছে।
ম্যানিলাভিক্তিক ঋণদাতা সংস্থাটি বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
মাসাতসুগু আসাকাওয়ার স্থলাভিষিক্ত হওয়া ৫৯ বছর বয়সী কান্ডা বর্তমানে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীর বিশেষ উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
এডিবির নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে কান্ডা ২০২৫ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি দায়িত্ব গ্রহণ করবেন এবং ২০২৬ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি তার মেয়াদ শেষ হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।
প্রেসিডেন্ট আসাকাওয়ার ২০২৬ সালের ২৩ নভেম্বর পর্যন্ত অসমাপ্ত মেয়াদেও দায়িত্ব পালন করবেন কান্ডা।
এডিবির বোর্ড অব গভর্নরসের চেয়ারম্যান ও ব্যাংক অব ইতালির গভর্নর ফ্যাবিও প্যানেট্টা বলেন, ‘‘আন্তর্জাতিক অর্থনীতিতে কান্ডার ব্যাপক অভিজ্ঞতা এবং বহুপাক্ষিক পরিবেশে দক্ষ নেতৃত্ব এডিবিকে জটিল বৈশ্বিক অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতা জোরদারে সহায়তা করবে।’’
তিনি বলেন, ‘‘এডিবির বোর্ড অব গভর্নরস কান্ডার সঙ্গে কাজ করার অপেক্ষায় রয়েছে।
প্রায় চার দশকের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন কান্ডা জাপানের অর্থ মন্ত্রণালয়ে আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপমন্ত্রীসহ গুরুত্বপূর্ণ পদে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
আর্থিক খাতের নীতি এবং ম্যাক্রো-রাজস্ব নীতিতে তার ব্যাপক অভিজ্ঞতা রয়েছে। তিনি আর্থিক পরিষেবা সংস্থার ডেপুটি কমিশনার, বাজেট ব্যুরোর উপমহাপরিচালক এবং নীতি পরিকল্পনা ও সমন্বয়ের উপসহকারী মন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
তিনি শিক্ষা ও বিজ্ঞান নীতির পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় সংস্কারের ক্ষেত্রেও শীর্ষস্থানীয় বিশেষজ্ঞ।
বহুপাক্ষিক উন্নয়ন ব্যাংকের (এমডিবি) বিবর্তন, মহামারি প্রতিরোধ, প্রস্তুতি ও প্রতিক্রিয়া এবং ঋণের স্থায়িত্ব এবং স্বচ্ছতার মতো মূল নীতিগত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কান্ডা জি-৭, জি-২০ এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক ফোরামে সক্রিয়ভাবে জড়িত।’’
আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপমন্ত্রী থাকাকালীন জাপান এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ফান্ডের ১৩তম পুনঃপূরণে ১০০ কোটি ডলারেরও বেশি রেকর্ড অবদান রেখেছিল।
কান্ডা ২০১৬ সাল থেকে ওইসিডি কর্পোরেট গভর্নেন্স কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০২৩ সালে কর্পোরেট গভর্নেন্সের জি২০/ওইসিডি নীতিমালা পর্যালোচনার তত্ত্বাবধান করেছেন তিনি।
এমডিবিতে কৌশলগত আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণেও তার যথেষ্ট অভিজ্ঞতা রয়েছে। তিনি বিশ্বব্যাংকে জাপানের অল্টারনেট এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
কান্ডা ১৯৮৭ সালে টোকিও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনে স্নাতক এবং ১৯৯১ সালে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে এমফিল ডিগ্রি অর্জন করেন।