দেশের কৃষিখাতে ব্যবহারের জন্য সৌদি আরব, কাতার ও আরব আমিরাত থেকে ৯০ হাজার মেট্রিক টন বিভিন্ন ধরনের সার কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এতে ব্যয় হবে ৩৩৮ কোটি ৯৪ লাখ টাকা।
বুধবার (৪ ডিসেম্বর) অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এসব প্রস্তাবে অনুমোদন দেয়া হয়।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতায় চলতি ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে কাতার এনার্জি মার্কেটিং থেকে ৬ষ্ঠ লটের ৩০ হাজার টন ব্যাগড প্রিল্ড ইউরিয়া সার আমদানির প্রস্তাবনা অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এতে ব্যয় হবে ১৩৩ কোটি ৮ লাখ ১২ হাজার টাকা। প্রতি টন সারের দাম পড়বে ৩৬৯.৬৭ মার্কিন ডলার।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের আরেক প্রস্তাবের ভিত্তিতে চলতি ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের জন্য সৌদি আরবের কৃষি পুষ্টি কোম্পানি (সাবিক) থেকে ১১তম লটের ৩০ হাজার টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ১২৩ কোটি ২৩ লাখ ৮৮ হাজার টাকা। প্রতি টন সারের দাম পড়বে ৩৪২.৩৩ মার্কিন ডলার। অন্যদিকে চলতি অর্থবছরে উন্মুক্ত পদ্ধতিতে টিএসপিসিএলের জন্য ৩০ হাজার মেট্রিক টন রক ফসফেট আমদানির প্রস্তাবন অনুমোদন দিয়েছে সরকার। মরক্বোতে উৎপাদন করা আরব আমিরাতের মেসার্স জেনট্রেড এফজেডই নামের প্রতিষ্ঠান ওই সার সরবরাহ করবে। সারের ব্যয় হবে ৮২ কোটি ৬২ লাখ টাকা। প্রতি টন সারের দাম পড়বে ২২৯.৫০ মার্কিন ডলার। বৈঠকে সার ছাড়াও চাল, চিনি ও মসুর ডাল কেনা অনুমোদেন দিয়েছে ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। বৈঠক শেষে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের যে টানাপোড়েন চলছে সেটি রাজনৈতিক, বাণিজ্যে এর প্রভাব পড়বে না। ব্যবসায়ীরা যারা পণ্য বিক্রি করেন তারা রাজনীতিবিদের বক্তব্যে বিভ্রান্ত হয় না, তারা পণ্য বেচেন। যেখান থেকে বাংলাদেশ কম দামে পণ্য পাবে, সেখান থেকেই কিনবে।